আরিফ শেখ, রংপুর প্রতিনিধিঃ

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রংপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হচ্ছেন সাংবাদিক মহিউদ্দিন মখদুমী। “ভোট দিন- ২৪ ঘন্টা সেবা বুঝে নিন” শ্লোগানে প্রচারণার কাজও শুরু করেছেন তিনি। সাংবাদিক মহিউদ্দিন মখদুমী জানান, ভোট হলো নির্মম খেলা। জনগণের ভোটের রায় বদলে দিতে পারে সমাজের অনেক কিছু। এজন্য জনগণকে ষ্মার্ট, লোভহীন, মেধাবী, চৌকষ, বুদ্ধিদিপ্ত ও উচ্চ শিক্ষিত প্রার্থীকে বেছে নিতে হবে। আমি রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় থেকে অনার্স এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ পাশ করেছি। স্বাধীন সাংবাদিকতা করি। প্রতিদিন মানুষের সমস্যা-সম্ভাবনাকে নিয়ে কাজ করি। যেহেতু ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী কোন প্রতিনিধির বরাদ্দ বণ্ঠন করার ক্ষমতা নেই। থাকে না। ভাইস চেয়ারম্যানের কোন চেক পাওয়ার থাকে না। সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোন ক্ষমতা নেই। এটি একটি সম্মান জনক পদবী। আমি মনে করি, জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে, যে কোন সমস্যায় সংকটে আমাকে ডাকলেই পাশে পাবে। আমি সেবা করার সুযোগ পাব। সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে আমি জনগণের ভোট চাই, কেন চাই? আমি উচ্চ শিক্ষিত, স্মার্ট। তাই সাংবাদিকতা পেশার সাথে ভাইস চেয়ারম্যান যুক্ত হলে মন্ত্রণালয় থেকে সরকারী বরাদ্দ এনে জনসেবায় উন্নয়ন করতে পারব। সাংবাদিকতা পেশার সাথে ভাইস চেয়ারম্যান যুক্ত হলে জনগণের সমস্যা সমাধান, প্রশাসনিক কাজ কর্ম এবং বিচার শালিশের মাধ্যমে জনগণের সেবা করতে পারব। পাঁচটি ইউনিয়নে কর্মক্ষম এবং পারঙ্গম একজন ভাইয়ের অভাব দীর্ঘদিনের। সাংবাদিকতায় চৌদ্দ বছরের অভিজ্ঞতা আমার। জীবনের চিকন গলি, প্রশস্ত গলি চিনেছি। চিনেছি বলেই এই পাঁচটি ইউনিয়নের নতুন প্রজন্মের পাশে থেকে নির্ভরশীল, ত্যাগী, উদার ও মানবিক ‘ ভাই’ হয়ে উঠতে চাই। খলেয়া ইউনিয়ন সদর উপজেলায় অর্ন্তভুক্ত হলেও থানার কার্যক্রম চলে গংগাচড়ায়। জনগনের মধ্যে এটি নিয়ে হতাশা বিরাজ করছে। কেন অর্ন্তভুক্ত হচ্ছে না? সমস্যা কোথায়? কোথায় আঁটকে আছে ফাইল? কোন দপ্তরে? কেউ জানার চেষ্ঠা করে না। আমি এটি নিয়ে কাজ করছি। দ্রæত ফলাফল আসবে। সদর উপজেলা পরিষদকে সিও বাজার থেকে সদরে আনার যুদ্ধে লড়তে চাই। সমৃদ্ধ সদর উপজেলা গড়ার কাজে সৈনিক হতে চাই। অংশিদার হতে চাই। অন্যদিকে, আমি নির্বাচিত হলে যে সব কাজ করতে চাই, পাঁচটি ইউনিয়নের ৪৫টি ওয়ার্ডে স্থায়ী ভাবে পাঠাগার নির্মাণ করব। সেই পাঠাগার হবে স্মার্ট প্রজন্ম তৈরীর কেন্দ্র। কারণ সেখানে ইন্টারনেট সংযোগ থাকবে। অনলাইনে চাকুরীর আবেদন করার ব্যবস্থা ও শিক্ষা বৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে। পাঁচটি ইউনিয়নের ৪৫টি ওয়ার্ডের ৪৫জন এতিম কিংবা দরিদ্র পরিবারের নারীকে নিজস্ব খরচে বিয়ে দেব। আয়ের পথ করে দেব। এরা হবে আমার সন্তানের মতো। পাঁচটি ইউনিয়নে মাদক প্রতিরোধে জাগো ফুটবল কর্মসূচী দিয়ে ফুটবল উন্নয়ন করে খেলোয়ার তৈরীর চেষ্ঠা করব। যারা জাতীয় দলে খেলতে পারবে। আগের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানগণ দৃশ্যমান কিছুই করতে পারেনি। আমি পারব। আমি দৃশ্যমান কাজ করব।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version