রুহুল আমিন, ডিমলা(নীলফামারী)
সারা দেশে পঞ্চমবারের মতো এবারও বিভিন্ন আয়োজনে পালিত হয়েছে জাতীয় বীমা দিবস৷ “করবো বীমা গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যে নীলফামারীর ডিমলায় জাতীয় বীমা দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
ডিমলা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ অর্থ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শুক্রবার ১লা মার্চ সকালে দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডিমলা উপজেলা পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড কার্যালয়ে ফিরে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই-আলম সিদ্দিকী।
এসময় সভাপতি বলেন, বীমা হল নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে জীবন, সম্পদ বা মালামালের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কোন প্রতিষ্ঠানকে স্থানান্তর করা। দেশের দুই কোটি মানুষ বিভিন্ন ধরনের বীমার আওতায় রয়েছেন।
এছাড়াও র্যালী ও আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড নীলফামারী উত্তর ডিমলা সার্ভিস সেল ডিপুটি জেনারেল ম্যানাজার ইনচার্জ মোঃ লাভলু হোসেন, এজিএম জাহিদুল ইসলাম জাদু, আশরাফ আলী, ও ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আবজাল হোসেন বাবলু, সমেলা বেগমসহ পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর সকল কর্মীবৃন্দ।
দিবসটিতে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড নীলফামারী উত্তর ডিমলা সার্ভিস সেল ডিপুটি জেনারেল ম্যানাজার ইনচার্জ মোঃ লাভলু হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন বীমা কোম্পানী তাদের স্ব-স্ব ব্যানারে অংশ গ্রহণ করেন।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, ১৯৬০ সালের পহেলা মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পাকিস্তানের আলফা ইন্স্যুরেন্সে যোগদান করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় দিনটিকে প্রতি বছর বীমা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। সরকারও এর অনুমোদন দিয়েছে। জাতীয় বীমা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা অনুরোধ জানিয়েছি, যেন অর্থ মন্ত্রণালয়সহ অন্য মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করে অতি দ্রুত আইডিআরএ কে পূর্ণমাত্রায় কার্যকর করেন।