আবু বকর ছিদ্দিক রনি, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনের নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল ইসলাম বলেছেন, কেশবপুর উপজেলায় কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করা যাবে না। কোন চাঁদাবাজী করা যাবে না। কোন মাদক ব্যাবসা ও মাদক সেবন করা যাবে না। ঘের দখল, টেন্ডারবাজী-সহ কোন দখলবাজি করা যাবে না। নিয়োগ বাণিজ্য করা যাবে না। কেশবপুরে মেধা যাচাইয়ের ভিত্তিতে চাকুরী হবে। অন্যায়ভাবে কাউকে হয়রানি করা যাবে না। কেশবপুরে কেউ কোন খারাপ কাজ করলে তার কোন ক্ষমা হবে না। কেশবপুরে থাকবে সুন্দর পরিবেশ।
এমপি আজিজুল ইসলাম আরো বলেন, কেশবপুর উপজেলাবাসি আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। যারা আমার জন্য কষ্ট করেছেন, আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। কেশবপুর সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এএসএইচ কে সাদেক ও সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের ভালোবাসার জায়গা। আমি তাঁদের অনুসারী। নির্র্বাচনে যারা আমাকে ভোট দেয়নি, আমার বাইরে নির্বাচন করেছে, তাদেরকে আঘাত করা যাবে না।
তাদেরকে আঘাত করলে তাদের পরিবারের লোকজনও কষ্ট পাবে। আমাদের দ্বারা কেউ যেন কষ্ট না পায় সে দিকে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে। আমি চাই কেশবপুর উপজেলার প্রতিটি পরিবার আমাকে যেন তাদের সন্তান মনে করে। আমি কেশবপুর বাসির সন্তান হিসেবে বেঁচে থাকতে চাই। আমি আপনাদের সুখ-দুখের সাথী হয়ে থাকতে চাই। কেশবপুরের প্রশাসন যেভাবে বলবে আমরা সেইভাবে চলবো। আমরা আইন মেনে চলবো। আমরা কেউ আইনের উর্ধ্বে নই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কেশবপুর পাবলিক ময়দানে উপস্থিত জনসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনের নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বনানী কবরস্থানে প্রায়ত সাবেক সফল শিক্ষামন্ত্রী এএসএইচকে সাদেকের কবর জিয়ারত করেন। দুপুর ১২ টায় তিনি যশোর বিমানবন্দরে আসলে রিসিভশানে আসা শত শত নেতা-কর্মীরা তাঁকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করেন।
গাড়ী বহর নিয়ে এমপি আজিজুল ইসলাম কেশবপুর পাবলিক ময়দানে পৌছালে হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। এসময় কেশবপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসেন, কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি শামীম রেজা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ, ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির টিনু, যুবলীগনেতা তরিকুল ইসলাম, টিপু সুলতান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।