তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ছাত্রলীগের কর্মীর উপর অপর গ্রুপের ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার রাত প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মুমিত আসুক চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকার প্রচারণায় গিয়ে ১০ দিনের মাথায় দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষ-হামলায় জড়ালো মন্ত্রী হিসেবে পরিচিত ছাত্রলীগের উপগ্রুপ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপির প্রচারণা শেষে রাত প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মুমিত আসুক চত্বরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূঁইয়া উজ্জ্বল গ্রুপের কর্মী ওয়াসিম আহমদের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে উপ-গ্রুপ আল-আমিন গ্রুপের কর্মীরা। খবর পেয়ে ইকবাল গ্রুপের নেতাকর্মীরা স্থানীয় জুড়ী আধুনিক হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেয়। কিছুটা দুরে আল-আমিন গ্রুপের নেতাকর্মীরাও অবস্থান নেয়। এ সময় আওয়ামীলীগ দলীয় নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় আসা মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান আধুনিক হাসপাতালে অবস্থান নেন। সেখানে আওয়ামী লীগের নেতারা একত্রিত হয়ে সভা করেন।
পরে ঘটনাস্থল থেকে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা সরে যান। হামলায় আহত ওয়াসিম আহমদকে প্রথমে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় সিলেট হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নৌকা মার্কার প্রচারণা কালে এ দুই উপ-গ্রুপের নেতাকর্মী কয়েক দফা সংঘর্ষে জড়ায়। তখন সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে যুবলীগের এক নেতা হেনস্থার শিকারও হয় বলে জানা যায়।
আহত ওয়াসিম আহমদের পিতা ফারুক মিয়া বলেন, আমার জমাকৃত ২ লাখ টাকা দিয়ে আমার ছেলেকে তার ফুফুর বাড়ি নিয়ে দেওয়ার জন্য রাত সাড়ে নয় টার দিকে পাঠিয়েছি। মধ্য রাস্তায় আল-আমিন, কামালসহ কয়েকজন তাকে মারধর করে টাকা নিয়ে গেছে। ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসায় ব্যস্ত থাকায় মামলা করতে পারিনি। তবে পুলিশ এসে দেখে গেছে। আমি মামলা করবো।
জুড়ী থানার ওসি এস এম মাইন উদ্দিন বলেন, তেমন কিছু হয়নি। কেউ অভিযোগ দেয় নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।