(নোয়াখালী) প্রতিনিধি
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির সময় মো. শহীদ উল্লাহ (৬০) নামে এক নৈশপ্রহরীকে হত্যা করা হয়েছে। পিটিয়ে আহত করা হয়েছে আরও কয়েকজনকে। দুই দোকান থেকে কয়েকশত ভরি স্বর্ণ লুট করে ডাকাতদল। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টা থেকে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নৈশপ্রহরীর নাম মো. শহিদ উল্যাহ (৫০)। তিনি একই উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের চর গুল্লাখালী গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে প্রথমে থানায় নিয়ে আসে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।। আহতরা হচ্ছেন, বাজারের অপর নৈশপ্রহরী অজি উল্লাহ ও ইসমাইল হোসেনসহ ৪ জন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতে চাপরাশিরহাট বাজারে ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। রাতে বাজার পাহারা দেন পাঁচ জন নৈশপ্রহরী। রাত সাড়ে ৩টার দিকে ২০/২৫ জনের একদল ডাকাত একটি পিকআপভ্যান নিয়ে চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজার আসেন। এ সময় তারা তিন জন নৈশপ্রহরীকে বেঁধে তাদের মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে দেন। কিন্তু ডাকাতদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতে গেলে নৈশপ্রহরী শহীদের মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ডাকাতদল। পিটিয়ে আহত করা হয় বেঁধে রাখা হয় অপর দুইজনকে। বিষয়টি টের পেয়ে বাজারে থাকা দুই জন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক বের হয়ে এলে তাদেরও মারধর করে বেঁধে রাখা হয়। পরে বাজারের মা-মনি জুয়েলার্স ও নূর জুয়েলার্স থেকে লুট করা হয় কয়েকশত ভরি স্বর্ণ এবং নগদ অর্থ।
চাপরাশিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন টিটু জানান, ডাকাতদল রাত সাড়ে ৩টা থেকে প্রায় সাড়ে ৪টা পর্যন্ত স্বর্ণের দোকানে দুটিতে লুটপাট চালায়। ডাকাতি শেষে তারা গাড়ি নিয়ে ফেনীর সোনাগাজীর দিকে চলে যায় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাস্থল থেকে অনেকগুলো আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন