দেওয়ান রানা, মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : নেত্রকোণা মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৪ অনিয়মের অভিযোগ তুলে ঐ প্রতিষ্ঠানেরই দুই সহকারী সিনিয়র শিক্ষক। ঐ দুই সিনিয়র শিক্ষক গত ১৯ অক্টোবর মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ১টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের বিষয়গুলো গণমাধ্যম কর্মীদের নজরে আসলে কয়েকটি জাতীয় পত্রিকা ও অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হলে উপজেলা প্রশাসন গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুত তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
অভিযোগের ৪ বিষয় হলো- ১. ট্রলার ঘাটের ইজারার টাকা আত্মসাৎ, ২. ভাউচার বাণিজ্য, ৩. অফিস কক্ষকে বাসভবন হিসেবে ব্যবহার এবং ৪. নিয়োগ বাণিজ্য।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ আজিজুর রহমান আকন্দ জানান, ট্রলার ঘাটের বিষয়টি সভাপতি সব জানেন আমি কিছু জানিনা। আমি কোনো মিথ্যা ভাউচার করি না। রেজুলেশনের মাধ্যমে কমিটির অনুমতিতে অফিস কক্ষের একপাশে থাকি (রাত্রিযাপন)। নিয়োগের বিষয়টি আপাতত স্থগিত আছে। আজ (৩০ অক্টোবর) তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করতে স্কুলে এসেছিলো।
সভাপতি মোঃ নিমন মিয়া জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট হতে ১ লক্ষ ২০ টাকার বিনিময়ে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ট্রলার ঘাট এনেছি। এটা কোনো স্কুলের বিষয় না। প্রধান শিক্ষক স্কুলে থাকবে (রাত্রিযাপন), এমন কোনো রেজুলেশন হয়েছে বলে আমার জানা নেই।
তদন্ত কর্মকর্তা একাডেমিক সুপারভাইজার জোছনা বেগম জানান, বিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে সভাপতি নিমন সাহেব ট্রলার ঘাট নিজের নিয়ন্ত্রে নিয়ে গেছেন। যার আয়-ব্যয় বিদ্যালয় পায়নি। ভাউচার বিষয়ে এখনো ত্রুটি পাইনি তবে বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। অফিস কক্ষের একপাশে তিনি থাকেন (রাত্রিযাপন) করেন তা আমি দেখে এসেছি। আমার জানা মতে, এখনো চুড়ান্ত নিয়োগ সীটে স্বাক্ষর হয়নি।