নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছাড়া সমাবেশের জন্য বিকল্প দুটি জায়গার নাম চেয়ে পুলিশের পক্ষে থেকে বিএনপিকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। পুলিশের সেই চিঠির জবাব দিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, নয়াপল্টনেই মহাসমাবেশ হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অন্য কোনো ভেন্যুতে যাওয়া সম্ভব নয়। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা একটি চিঠি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পল্টন মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়- সমাবেশ দুপুর ২টায় শুরু হবে এবং মাগরিবের আজানের আগে শেষ হবে, সমাবেশে এক লাখ থেকে সোয়া লাখ লোক হতে পারে, সমাবেশটি পশ্চিমে বিজয়নগর মোড় ও পূর্বে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে।
আরও জানানো হয়, সমাবেশে পশ্চিমে বিজয়নগর মোড় এবং পূর্বে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত কিছুদূর অন্তর অন্তর মাইক লাগানো হবে, ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে বিএনপির নেতারা ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করবেন না, সমাবেশের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দলের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করবেন, যার সংখ্যা হবে ৫০০।
এর আগে বুধবার রাতে ডিএমপি থেকে সমাবেশের সাতটি বিষয় জানতে চেয়ে বিএনপিকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। চিঠিতে পুলিশ জানতে চেয়েছিল- সমাবেশে লোকসমাগম কখন শুরু হবে এবং সমাবেশ কখন শেষ হবে, সমাবেশে কী পরিমাণ লোক সমাগম হবে, সমাবেশটি নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ঠিক কোন কোন স্থান পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
আরও জানতে চাওয়া হয়, সমাবেশে বক্তব্য প্রচারের জন্য কোন কোন স্থানে মাইক স্থাপন করা হবে, সমাবেশে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন কি না, সমাবেশে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে কি না, যদি হয়, তার সংখ্যা কত হবে, জননিরাপত্তাজনিত কারণে নয়াপল্টনে অনুমতি দেওয়া সম্ভব না হলে বিকল্প দুটি ভেন্যুর নাম।