তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনা সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। তিনি বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে ভিজিডি, ভিজিএফ, বিধবা ও মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বড়লেখায় অন্তত ৭০ হাজার মানুষকে নিরবিচ্ছিন্ন সহায়তার আওতায় এনেছে বর্তমান সরকার। ফলে মানুষের প্রয়োজন নিশ্চিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তার সুফল মানুষ ভোগ করছে। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আনতে হবে।
পরিবেশমন্ত্রী শনিবার (১৪ অক্টোবর) মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় সরকারের বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির উপকারভোগী ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় ও গাছের চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উপজেলা প্রশাসন ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী বাস্তবায়নকারী দপ্তরসমূহ বড়লেখার জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে এর আয়োজন করে।
মন্ত্রী আরও বলেন, জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধেও বিএনপি-জামায়াতের কোনো অবদান ছিল না। বরং তারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল। তারা রাজাকার ছিল, আলবদর ছিল। পাকিস্তানীদের পক্ষ নিয়ে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে। আমাদের মা-বোনকে ধর্ষণ করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে চারখার করেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছরে বড়লেখা উপজেলার ৪০ হাজার ৪৭০ জন কৃষকের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি এবং বিনামূল্যে সারবীজসহ বিভিন্ন উপকরণ বাবদ ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা, সামাজিক নিরাপত্তাকর্মসূচির (ভিজিডি) আওতায় ৪ হাজার ৬৫৬ জন নারীকে ২৭ শ’ মেট্রিক টন চাল প্রদান, মা ও শিশু কর্মসূচির আওতায় ৩ হাজার ৩১০ জনকে ৭ কোটি ১ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা প্রদান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অধিদপ্তরের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য ১১ কোটি ৪৪ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ৪৬৯টি ঘর নির্মাণ, সমাজসেবা কার্যালয়ে অধীনে সামাজিক নিরাপত্তাকর্মসূচির আওতায় ২১ হাজার ৮১০ জন উপকারভোগীর মাঝে বিভিন্ন খাতে প্রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর হোসাইন। উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার মুহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর, সাংগঠনিক সম্পাদক পৌর মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী ও উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ, ইউপি চেয়ারম্যান আজির উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান ছালেহ আহমদ জুয়েল, উপকারভোগীদের মধ্যে বক্তব্য দেন সিরাজ উদ্দিন, খালেদ আহমদ, নিরঞ্জন বুনার্জি, চাশ্রমিক রিতা বক্তা, সুজিতা বাউরি, তারানা বেগম প্রমুখ।