তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড আবাসিক প্রকৌশলীর দপ্তর জুড়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ, বিউবো। কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী পদে কবীর আহমেদ যোগদানের পর থেকে অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। জানা গেছে, একাধিক মাস থেকে আবাসিক সহকারী প্রকৌশলী কবীর আহমেদ তার অফিস রুমের সম্মুখে সাইনবোর্ড লাগিয়ে আবাসিক প্রকৌশলী (গ্রেড- ৬) ভুয়া পদবি ব্যবহারের পাঁয়তারা চলমান। বর্তমান পদবি কবীর আহমেদের আবাসিক (সহকারী) প্রকৌশলী (গ্রেড- ৯) জুড়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ বিউবো, জুড়ী, মৌলভীবাজার।
অনুসন্ধানে জানা গেছে একাধিক অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের ছড়াছড়ি। সার্ভিস তার মিটারের ইনকামিং এর মাধ্যমে সংযুক্ত করে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে অফিস রুমে ব্যবহার করেন এসি। ডিজিটাল মিটার নং- ২১৫১৪৭, আবাসিক সহকারী প্রকৌশলী কবীর আহমেদ। এভাবে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে সরকারী বিদ্যুৎ ব্যবহার করে সুবিধা ভোগ করছেন এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তারা। এতে করে ক্ষতির মুখে পড়ছে পিডিপি কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখি, রাণীমুড়া সাবস্টেশনে একটি নাম বিহীন অবৈধ কার্ড মিটার নং- ১০৩১১০৭৬৭১৪, এই মিটারে ৪৩৫৯৩ টাকা বাংলাদেশ সরকারের পাওনা বর্তমানে সার্ভিস তার মিটারের ইনকামিং এর মাধ্যমে সংযুক্ত। বজিটিলা গ্রামীণফোন টাওয়ারে নাম বিহীন একটি ডিজিটাল মিটার নং- ৯৪৪৭৮০, এই মিটারে ৫১০০ ইউনিটের বিল বাংলাদেশ সরকারের পাওনা। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের অসংখ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে ফলে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।
আর এখানের অবৈধ বিদ্যুৎ লাইনগুলোর সংযোগে যুক্ত রয়েছে পিডিপি কর্মচারীরা। এসব অবৈধ বৈদ্যুতিক সংযোগের সঙ্গে কবীর আহমেদ আবাসিক (সহকারী) প্রকৌশলী জড়িত রয়েছেন। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার ভিত্তিতে এসব অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে আসছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, কুলাউড়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড পিডিপির নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রাসেল আহমদ, জানান জুড়ীর সহকারী প্রকৌশলী কবির আহমেদ (নবম- গ্রেড) এর কর্মকর্তা। ষষ্ঠ গ্রেড ব্যবহার করেন তার ব্যক্তিগত বিষয়। অবৈধভাবে মিটার ও বিদ্যুৎ ব্যবহার কারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কথা হয়, আবাসিক (সহকারী) প্রকৌশলী কবীর আহমেদ এর সাথে তিনি এ প্রতিবেদককে, সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন।