নাজমুল হাসান,মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের কালকিনিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক চেয়ারম্যানের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। এ সময় কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
৪সেপ্টেম্বর(সোমবার) সকাল ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত কালকিনি উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের ফাসিয়াতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মাদারীপুর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কালকিনি উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহেদ পারভেজ ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. হাফিজুর রহমান মিলন সরদারের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে সোমবার সকালে ফাসিয়াতলা এলাকায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় দু’পক্ষ। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ওঠে।
কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। এতে আহত হয় উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন। আহতদের মাদারীপুর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান, সকাল ১০টার দিকে দু’পক্ষ প্রথমে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আলাদাভাবে একটি মাঠে জড়ো হয়। পরে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়, পাশাপাশি টেঁটা নিক্ষেপ করে। এতে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
পরাজিত চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মিলন সরদার বলেন, তারা নির্বাচনে জয়লাভ করার পর থেকেই আমাদের লোকজনের উপর মাঝে মাঝে হামলা চালিয়ে আসছে।
তাদের লোক আমাদের লোকদের মেরে একেবারে
আহত করেছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
এদিকে, বর্তমান চেয়ারম্যান শাহেদ পারভেজ বলেন, আমাদের লোক তাদের মারে নাই। তারা নিজেরা নিজেরাই এই গন্ডগোল সৃষ্টি করে আমাদের উপর দায়ে চাপাচ্ছে।
উইনুস নামের স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, শুধুমাত্র এলাকার মাতব্বরি টিকিয়ে রাখার জন্য দু’পক্ষ প্রায়ই এ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এ বিষয়ে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হোসেন জানান, আলিনগরের বর্তমান চেয়ারম্যান ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


