ম.ব.হোসাইন নাঈম,
স্টাফ রিপোর্টার
নোয়াখালীর সুধারাম উপজেলায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এক বিমান কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় এক ডাকাতকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে ঘটনার তিন দিন পরও লুন্ঠিত স্বর্ণ ও টাকা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
গ্রেফতার আমির হোসেন কিরণ (৩৮) উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের খালিশা টোলা গ্রামের তালেমান হাজী বাড়ির ডা.গোলাম কবিরের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, গতকাল বুধবার বিকেলের দিকে আসামিকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে নোয়াখালী জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। গত সোমবার রাতের দিকে তাকে উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়ন থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে, গত রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সুধারাম উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নের মনারখিল গ্রামের বাবুল মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতেরা বাড়ি লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান মালামাল লুট করে।
ভুক্তভোগী ইসমাইল হোসেন বাবুল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গ্রাউন্ড সার্ভিস অফিসার। তিনি বলেন, কিছু দিন আগে আমি গ্রামের বাড়িতে একটি বিল্ডিং নির্মাণ করি। ওই ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করতে আমি কিছু টাকা দেনা হয়ে পড়ি। রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে আমি ঢাকা থেকে বাড়িতে আসি। আসার সময় গ্রামের ঋণ পরিশোধ করতে আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়ে আসি। রোববার রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ১০-১২ জনের একদল সশস্ত্র মুখোশ পরিহিত ডাকাত আমার বিল্ডিংয়ের সামনের দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকার চেষ্টা চালায়। বিষয়টি আমি বুঝতে পেরে আমার রুম থেকে বের হয়ে একটু সামনে আসলেই দেখি ডাকাতেরা ভবনের ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে গেছে। তাৎক্ষণিক তারা আমাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে ফেলে। এরপর ঘরের আসবাবপত্র ও স্টিলের আলমারির তালা ভেঙে আমার বিধবা বোনের গরু বিক্রির আড়াই লাখ টাকাসহ নগদ প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা, ৫-৬ ভরি স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
সুধারাম থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এক ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারে ওই ডাকাতকে রিমান্ডে এনে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।