প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১১ বছর পর বুধবার রংপুর সফরে যান। সেখানে তিনি সমাবেশে উপস্থিত হন এবং নানান প্রকল্প উদ্বোধন করেন। যার মধ্যে ছিল দেশের সবচেয়ে বড় এবং এশিয়ার অন্যতম বড় সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র। যেটা গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় অনাবাদি চরের ৬৫০ একর জমিতে গড়ে উঠেছে।
রংপুর জিলা স্কুল মাঠের সমাবেশ থেকে ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বিকালে রংপুর থেকে ঢাকা ফেরার পথে হেলিকপ্টারের জানালা দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি তিনি এক ঝলক দেখেও নেন।
তিস্তা সোলার লিমিটেড নামে এ কেন্দ্রটি গড়ে তুলেছে বেক্সিমকোর গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো পাওয়ার লিমিটেড।
তিস্তা পাড়ের লাটশালা এলাকায় বিশাল এ কেন্দ্রটির নির্মাণ শুরু হয় ২০১৭ সালে। বসানো হয় সাড়ে পাঁচ লাখ সোলার প্যানেল। উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে সুন্দরগঞ্জের তিস্তা পাড় থেকে রংপুর পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে ১২২টি টাওয়ারের ১৩২ কিলো ভোল্টের ৩৫ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। নির্মাণ করা হয়েছে সাবস্টেশন, বসানো হয়েছে ইনভার্টারসহ সব ধরনের যন্ত্র।
বেক্সিমকো পাওয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান শায়ান এফ রহমান বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটা রোডম্যাপ আছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে, পরিবেশ রক্ষা নিয়ে। সরকার এটা নিয়ে অনেক কাজ করছে। বেক্সিমকো অনেক খাতে পায়োনিয়ার। আমরা মনে করি, এই নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত ভবিষ্যৎ জ্বালানির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে। তাই আমরা এ খাতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রকল্পে অর্থায়নে আমরা দেশে প্রথম সুকুক বন্ড চালু করি। এ প্রকল্পে আমাদের প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী আরও সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের চিন্তা করছি।’