দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে ফলের বাগান করার অজুহাতে টিলা কেটে সাবাড় করা হয়েছে। টিলা কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করার পরও এসব দেখেও না দেখার ভান করছে উপজেলা প্রশাসন।


সরেজমিন উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের ভরাডহর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মৃত আব্দুল হাছিবের ছেলে
জাবেদুল আলম সিপার বসতভিটার পাশের উঁচু পাহাড়ের মাঝখানের মাটি কেটে সমতল করে সরকারি খরচে মাল্টা বাগান করেছেন। টিলা কাটার বিষয়টি যাতে লোকজনের নজরে না পড়ে সেজন্য গাছ-গাছালি দিয়ে এটাকে আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে। সে সঙ্গে টিলার চূড়ায় থাকা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নিধন করেছেন‌। এতে করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প ২০২২/২০২৩ অর্থবছরের আওতায় ভরাডহর এলাকার মৃত আব্দুল হাছিবের ছেলে জাবেদুল আলম সিপারকে ৬০ টি মাল্টার চারা প্রদান করা হয়। টিলা কাটা সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে কাটা টিলায় প্রকল্প দেওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

টিলা কেটে বাগান করা জাবেদুল আলম সিপার বলেন, আমাদের বাড়ীর এ অংশে ৪০/৫০ বছর যাবদ আমাদের বসবাস। তাছাড়া এখানে সরজমিনে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম এসে দেখে মাটি কেটে সমান করতে বলায় আমি মাটি কেটেছি। এরপর তিনি এখানে মাল্টা বাগান দিয়েছেন। টিলা কাটা নিষেধ থাকলে তিনি মাল্টা বাগান করার অনুমতি দিতেন না।

এ ব্যাপারে সাগরনাল ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, ব্যক্তি মালিকানাধীন টিলা কাটা নিষিদ্ধ তা আমার জানা না থাকায় ওই ব্যক্তি কে মাল্টা বাগান প্রদান করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান খান বলেন, যিনি বাগান করেছেন তিনি টিলা কেটেছেন, আমরা কাটি নি। এখানে আমাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। যেখানে টিলা কাটা আইন বিরোধী সেখানে সরকারি টাকায় প্রকল্প বাগান করার যুক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেননি।

আলাপকালে স্থানীয় সচেতন মহল জানান, যেভাবে প্রভাবশালীরা নির্বিচারে ও অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কাটছে তাতে করে জনজীবনের জন্য হুমকি স্বরূপ। পাহাড়ের তলে কিংবা পাহাড়ে যেসব বাড়িঘর রয়েছে ভারী বর্ষণে যেকোনো মুহূর্তে ধসে গিয়ে প্রাণহানি হবে এবং পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। তারা আরো বলেন, প্রশাসন টিলা কাটার বিরুদ্ধে কখনও কখনও ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও আবার থমকে যায়। প্রভাবশালীসহ অনেক জনপ্রতিনিধি দিন দিন টিলা কেটে পাহাড়ি জনপদগুলো নষ্ট করে দিচ্ছে। পাহাড় রক্ষায় প্রশাসনকে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের সহকারী পরিচালক মোঃ মাইদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনজন চন্দ্র দে বলেন, টিলা কাটার বিষয়টি জেনেছি। তবে আইন অনুযায়ী টিলা কাটা অবস্থায় খবর পেলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি। যেহেতু বিষয়টি পরে জেনেছি তাই পরিবেশ অধিদপ্তর কে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেওয়া হবে। কাটা টিলায় সরকারি প্রকল্পের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নেয়া হবে এবং যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওাল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2025 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version