তিমির বনিক,মৌলভীবাজারে প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার কচুরগুল সীমান্তে দুই বাংলাদেশীকে পিটিয়ে মারাত্বক জখম করে সীমান্তে ফেলে রেখে যায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
সোমবার (২৪ জুলাই) ১০টার দিকে কচুরগুল বর্ডার থেকে তাদের একজনকে উদ্ধার করা হয়। ওপর জনকে ১৮০১ মেইন পিলারে কাছে থেকে বিজিবি’র লাঠিটিলার দ্বায়িত্বে থাকা ক্যাম্প কমান্ডারের নির্দেশে বেলা ১১ টার দিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।
বিজিবি জানায়, গত ২২ জুলাই দুই ব্যক্তি চট্টগ্রামের রামগড় বর্ডার হয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে প্রবেশ করে। সেখান থেকে আগরতলায় গিয়ে ট্রেনে উঠার সময় সন্দেহ হলে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে। এর পরে পুলিশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী ( বিএসএফ) এর কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিএসএফ তাদের খুব বেশী মারধর করে। আটককৃত জাহাঙ্গীর আলীর বাড়ি কুড়িগ্রামের ভুড়িঙ্গামারী ও অন্যজন খুলনার হৃদয় আহমদ। জাহাঙ্গীর আলী বাংলাদেশে আসে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার দক্ষিণ কচুরগুল এলাকা দিয়ে। সেখানে সে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে আটক হয়ে জানায় তার সাথের একজনকে সীমান্তে নদীতে ফেলে রেখেছে বিএসএফ। পরে বিজিবি ও স্থানীয়রা গিয়ে হৃদয় নামের ছেলেটিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১৮০১ নং পিলারের পাশে নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল মিয়া বলেন, সকালে একজন অপরিচিত লোক কচুরগুল আসলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। তার পুরো শরীরজুড়ে আঘাতের চিহু। তার মাধ্যমে আমরা আরেকজনের খবর পাই। তাদের শরীরে যে রকম আঘাত করা হয়েছে তা অবর্ননীয়। মানুষ মানুষকে এভাবে আঘাত করতে পারেনা।
লাঠিটিলা বিওপির দায়িত্বে থাকা ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার গোলাম গাউছ সংবাদ সারাবেলাকে জানান, সকালে স্থানীয়দের হাতে সীমান্তে অপরিচিত এক ব্যক্তি আটক হয়। পরে বিজিবি সেখানে উপস্থিত হয়ে আরেকজনকে উদ্ধার করে। দুই জনের শরীরে মারাত্বকভাবে জখমের দাগ রয়েছে। বিষয়টি আমরা বিজিবি’র উর্ধ্বতনদের জানিয়েছি। পরে তাদেরকে আমরা পুলিশের হেফাজতে দিয়েছি।
জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোশাররফ হোসেন জানান, তাদেরকে বিজিবি প্রহরায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অবস্থার উন্নতি হলে এজাহারের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকা অতিক্রম করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হবে।