যশোরে বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের পদযাত্রা-সমাবেশ-গণমিছিলে হামলায় নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ, দ্রব্যমূল্য ও জনজীবনের সংকট নিরসন, লুটেরা দুর্নীতিবাজ টাকা পাচারকারীদের বিচারের দাবিসহ ৯ দফা দাবিতে বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের উদ্যোগে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল ( ১৭ জুলাই) যশোর জেলার অভয়নগরে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত সমাবেশ ও পদযাত্রায় শ্রমিক লীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্র, লোহার রড ও লাঠিসোটা সহ অতর্কিত হামলা চালায় এবং উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। হামলায় পার্টির স্থানীয় নেতাসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
পদযাত্রায় এক জায়গা থেকে আরেক কায়গায় যাওয়ার সময় ৩/৪ টা মটরবাইক গাড়ির সমনে এসে গাড়ির গতিরোধ করে। তাদের হাতে রড, উইকেট ছিল। এর পরপরই আওয়ামী লীগ নেতা বেচার নেতৃত্বে ৪০/৫০ জনের বাহিনী বাইক ও জিপে করে আসে- তাদের কারো কারো হাতে শর্টগান, পিস্তল ছিল। তারা অশ্রাব্য গালিগালাজ করে, ঔদ্ধত্য আচরণ করে, মারধর করে। সরকার বিরোধী বক্তব্য কেন দেয়া হয়েছে বলে হুঙ্কার করে, লাঞ্ছিত করে, ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে, গাড়িতে থাকা মাইক খুলে নেয়, প্রায় ২০ হাজার লিফলেট ছিনিয়ে নেয়, নেতা-কর্মীদের মোবাইল কেড়ে নেয়। পরে মাইক ও মোবাইল ফেরত দিলেও অভয়নগর দেখলে খুন করা হবে বলে হুমকি দেয়।
নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। হাসিনা-আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার আজ ভীত সন্ত্রস্ত। তারা জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে ভয় পায়। শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-বুদ্ধিজীবীসহ আপামর জনগণের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামই পারে এই ফ্যাসিবাদকে রুখে দিতে। নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা সারাদেশে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-বুদ্ধিজীবীসহ সাধারণ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।