তিন দিনের আমেরিকা সফরের সূচনাতেই টুইটার কর্তা ইলন মাস্কের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিউ ইয়র্কে হওয়া এই বৈঠক নিয়ে কেন্দ্রের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু না জানানো হলেও, মুখ খুলেছেন মাস্ক। বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি ভারতের ‘সম্ভাবনা’ এবং প্রধানমন্ত্রীর ‘উদ্যোগে’র ভূয়ষী প্রশংসা করেন। এ-ও জানান যে, তিনি ‘মোদীর অনুরাগী’। উল্লেখ্য যে, মাস্ক মাইক্রো ব্লগিং সংস্থা টুইটারের মালিকানা হাতে পাওয়ার পর এই প্রথম মোদীর সঙ্গে বৈঠক হল তাঁর।
টেসলার সিইও এবং টুইটার কর্তা মাস্ক বলেন, “দারুণ একটা বৈঠক হল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। আমি তাঁকে খুবই পছন্দ করি।” ২০১৫ সালে আমেরিকা সফরে গিয়ে ক্যালিফর্নিয়ায় টেসলার কারখানায় গিয়েছিলেন মোদী। সে কথা উল্লেখ করে মাস্ক বলেন, “কিছু বছর আগে তিনি আমাদের কারখানায় এসেছিলেন। আমরা একে অপরকে বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই চিনি।” ভারতের সম্ভাবনার কথা বলতে গিয়ে টেসলা কর্তা বলেন, “ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি ভীষণ উৎসাহিত। আমার ধারণা, বিশ্বের যে কোনও বড় দেশের তুলনায় ভারতের বেশি সম্ভাবনা রয়েছে।”
গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা টেসলা ভারতে বিনিয়োগ করতে পারে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমি আশাবাদী যে টেসলা ভারতে যাবে। যত দ্রুত সম্ভব এই কাজ হবে।” পরে ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মাস্ক জানান, চলতি বছরের শেষেই ভারতে গাড়ি কারখানা গড়ার উপযুক্ত স্থান বেছে নেবে টেসলা। ভারতে বিনিয়োগ করার জন্য প্রয়োজনীয় আশ্বাস এবং ভরসা দেওয়ার জন্য মোদীর প্রশংসা করে মাস্ক বলেন, “তিনি (মোদী) ভারতের জন্য সঠিক জিনিসটি চান। তিনি বিনিয়োগকারী সংস্থাগুলিকে সাহায্য করতে চান।”
মঙ্গলবার আমেরিকার মাটিতে অবতরণ করেছে মোদীর বিমান। মঙ্গলবার রাতে নিউ ইয়র্কে নোবেলপ্রাপক, অর্থনীতিবিদ, শিল্পী, বিজ্ঞানী, উদ্যোগপতি-সহ একাধিক বিশিষ্টদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। মাস্ক ছাড়াও দেখা করেন লেখক রবার্ট থারম্যান এবং পরিসংখ্যানবিদ নিকোলাস নাসিম তালেবের সঙ্গে। বুধবার আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠানে থাকবেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও।