দূরপাল্লার অ্যারো-৩ সিস্টেম ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকেও ধ্বংস করে দিতে পারে, সেটাও পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপরে। বার্লিনের হাতে এই ডিফেন্স সিস্টেম এলে শুধু যে জার্মানি উপকৃত হবে তাই নয়, প্রতিবেশী দেশগুলোও লাভবান হবে। তারাও সুরক্ষা পাবে।বুধবার (১৪ জুন) জার্মান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের বাজেট কমিটি প্রাথমিকভাবে ইসরাইলকে যে অর্থ দিতে হবে তা অনুমোদন করেছে। প্রাথমিকভাবে জার্মানি ৫৬ কোটি ইউরো দেবে এই ডিফেন্স সিস্টেম কেনার জন্য। কমিটির এক সদস্যকে উদ্ধৃত করে এই খবর জানিয়েছে জার্মানির একটি সংবাদপত্র।
নেক বছর ধরে জার্মানি তার সামরিক বাহিনীর জন্য যথেষ্ট খরচ করেনি। কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন দেখিয়ে দিয়েছে, ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় কতটা ঘাটতি আছে। বিশেষ করে ক্ষেপনাস্ত্র ও ড্রোন হামলা হলে উপযুক্ত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অনেক দেশের কাছেই নেই।
ইউক্রেন যুদ্ধের পর জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস এক শ’ কোটি ইউরোর একটা তহবিল গঠন করেন। সেখান থেকেই অ্যারো-৩ ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবস্থার প্রাথমিক খরচ জোগানো হবে।
বার্লিন চায়, অ্যারো-৩ কেনা নিয়ে সরাসরি ইসরাইল সরকারের সাথে চুক্তি করতে। কিন্তু পরে যদি কোনো কারণে এই চুক্তি বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে জার্মানি আর অগ্রিম অর্থ ফেরত পাবে না বলে সংবাদপত্র জানিয়েছে। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষে চুক্তি হবে। আর বার্লিনের আশা, ২০২৫ সালের শেষদিকে তারা অ্যারো-৩ সিস্টেম হাতে পেয়ে যাবে। অগ্রিম অর্থ নিয়ে ইসরায়েল উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে শলৎস বলেছেন, জার্মানি একটা বড় প্রকল্পে অর্থ বিনিয়োগ করছে, যা শুধু একা জার্মানির সাথে যুক্ত নয়। শলৎসকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এই ক্ষেত্রে অগ্রিম অর্থ দেয়া কি ঝুঁকিপূর্ণ নয়? শলৎসের জবাব, ‘আমরা ছোট ছোট পদক্ষেপ নিয়ে এগোচ্ছি। আমি মনে করি, সবকিছু মসৃণভাবে চলবে।’
সূত্র : ডয়চে ভেলে