নীলফামারী সদর উপজেলায় নূর আলম নামে এক প্রান্তিক কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। এতে হাসি ফুটেছে অর্থের অভাবে শ্রমিক সংকটে থাকা কৃষক নূর আলমের মুখে।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) দিনব্যাপী সদর উপজেলার গোরগ্রাম বিন্নাদিঘী এলাকায় ওই কৃষকের এক বিঘা জমির ধান কেটে দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের দিকনির্দেশনায় নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন নসিবের নেতৃত্বে এ কর্মসূচি শুরু করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গোড়গ্রাম বিন্নাদিঘীর পূর্বপাশে প্রান্তিক চাষি নূর আলমের ধান কেটে দেন তারা। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের এমন কাজে খুশি স্থানীয় লোকজন।
কৃষক নূর আলম বলেন, ‘এক বিঘা জমির ধান কাটতে প্রায় তিন হাজার টাকা লাগতো। ছাত্রলীগের চেংরাগুলা সে ধান ফ্রিতে কাটি দিছে। আল্লাহ ওমার ভালো করুক। এই রোদে বেচারারা খুব কষ্ট করেছে। কদিন থেকে ধান কাটার মানুষ খুঁজি পাই না। পাইলেও অনেক টাকা চায়। আজ তারা ধান কাটি দিলো। দোয়া করি তাদের জন্য।’
স্থানীয় লিখন চৌধুরী বলেন, ছাত্রলীগ মানে আমরা নানা কথা শুনি। তবে ছাত্রলীগের এই ছেলেরা ব্যতিক্রম। তারা গরিব কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছে, এর থেকে আনন্দের কী হতে পারে। আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।
গোড়গ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নিপু বলেন, নসিব ভাই আমাদের নিয়ে এই কর্মসূচির পরিকল্পনা করেন। আমি আমার এলাকার অসহায় কৃষকদের নাম দিই। ভাই ও জেলার অন্য ভাইরা আমরা সবাই মিলে ধানটা কাটি।
নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন নসিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দিকনির্দেশনায় আমরা এই কর্মসূচি শুরু করি। আমরা ইউনিয়ন নেতাকর্মীদের মাধ্যমে প্রান্তিক কৃষকদের তালিকা করেছি। নুর আলম চাচার ধান কাটতে আমরা ৪০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ছিলাম। আমাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
নীলফামারী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ চৌধুরী বলেন, নসিবের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রলীগ যে কাজটি করেছে এটি সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। আমরা অত্যন্ত খুশি হয়েছি তাদের এমন কাজে। আগামী কর্মসূচিগুলোতে আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের সঙ্গে থাকব।