সাকিব আল হাসানের খেলা দেখে কত তরুণ যে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বুনেছেন তার হিসেব পাওয়া কঠিন। অথচ এতদিন তার স্বপ্ন ছিল গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করা। লম্বা সময় পর এসে হলেও অবশেষে তার সেই স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।
মানুষ যেই মুহূর্তটাতে স্বপ্ন ছুঁয়ে যায়, সেই সময়টা সবসময়ই বিশেষ হয়। ব্যাতিক্রম ছিল না সাকিবের বেলাতেও। গ্র্যাজুয়েট হওয়ার দিনে মঞ্চে এসে আবেগঘন হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এরপর জানান, এই মুহূর্তটা তার কাছে নিজের টেস্ট ক্যাপ পাওয়ার সময়টার মতোই।
সাকিব বলেন, আমি দীপু আপার (শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি) অনেক বিতর্ক দেখেছি। কারণ আমি বক্তৃতা ভালো দিতে পারি না। প্রশ্ন-উত্তর আমি ভালো পারি। বক্তব্য দিতে এসে তাই আমি খুবই নার্ভাস। (সমাবর্তনের হ্যাট দেখিয়ে) টেস্ট ম্যাচে যখন অভিষেক হয়েছিল, ক্যাপটা যখন পেয়েছিলাম ঠিক সেই অনুভূতি হচ্ছে আজকে।
পড়াশোনা বিষয়ে সাকিব বলেন, ২০০৯ সালের দিকে আমার যখন জাতীয় দলে ক্রিকেট খেলার ৩ বছর হয়ে গেছে, তখনও আম্মা ফোন করে প্রথম কথাই জিজ্ঞেস করতো, পড়াশোনার কি অবস্থা? আজকে আমি খুবই খুশি, আনন্দিত ও গর্বিত যে শেষ পর্যন্ত আমার এই স্বপ্ন পূরণ হলো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সাকিব বলেন, খেলার মাঠে হয়তো আমার বেশকিছু অর্জন আছে। কিন্তু এটা সবসময় আমার স্বপ্ন ছিল। আমার সকল কোর্স শিক্ষকদের আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাদের সমর্থন ছাড়া এটা সম্ভব হতো না।
২০০৯-১০ সেশনে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (বিবিএ) ভর্তি হয়েছিলেন সাকিব। ১৪ বছর পর গ্র্যাজুয়েট হলেন ক্রিকেট মাঠের এই অলরাউন্ডার।
দ্যা মেইল বিডি/এইচএসএস
