তাসলিমুল হাসান সিয়াম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি: ২ মাসে গাইবান্ধার ৭ উপজেলায় ৪৭ জন নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। এ ব্যাপারে ৭ থানায় ধর্ষকদের বিরুদ্ধে ৪৭টি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় ও বিচার ব্যবস্থা বিলম্বের কারণে ধর্ষণের মামলার সংখ্যা কমিয়ে আনা যাচ্ছে না বলে মুক্তিযুদ্ধ গবেষক অধ্যাপক জহুরুল কাইয়ুম জানিয়েছেন।গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি ইজার উদ্দিন জানান, গাইবান্ধায় নানা কারণে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলছে। জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব, পারিবারিক কলহ, পরকীয়া প্রেম ও জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। ধর্ষিতাদের মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থী ও শিশুর সংখ্যা বেশি। গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের তথ্যানুযায়ী থেকে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ২ মাসে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ, সাদুল্লাপুর, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও গাইবান্ধা সদর উপজেলায় আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে ধর্ষণের ঘটনা । গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন জানান, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ২ মাসে ৩৫ জন শিশু ও ১৭ জন মহিলাসহ মোট ৪৭ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এসব ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।