৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার নিহতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে।
তুরস্কের দক্ষিণপূর্বাঞ্চল ও সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে ভূমিকম্পে দেশ ২টিতে আহত হয়েছেন ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ।
আজ সোমবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টায় ভূমিকম্পটি তুরস্কের গাজিআন্তাপ প্রদেশের নুরদাগি জেলার ২৩ কিলোমিটার পূর্বে আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার। নুরদাগি অঞ্চলটি তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তে অবস্থিত। এ অঞ্চলের বেশ কিছু দেশে ভূকম্পন অনুভূত হয়, যার মধ্যে আছে সিরিয়া, লেবানন ও ইসরায়েল।
তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওতকে জানান, দেশটিতে ২৮৪ জন নিহত ও ২ হাজার ৩২৩ জন আহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে উদ্ধারদল ও সরবরাহ উড়োজাহাজ পাঠিয়েছে। আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি তুরস্কে ‘৪ মাত্রার’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
প্রতিবেশী সিরিয়ায় অন্তত ২৩৭ জন নিহত ও ৬৩০ জনেরও বেশি ব্যক্তি আহত হয়েছে। সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ মাধ্যম সানা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই আলেপ্পো, লাতাকিয়া, হামা ও তারতাস অঞ্চলের বাসিন্দা।
অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ার মানবিক সংগঠন ‘হোয়াইট হেলমেট।
এর আগে সর্বশেষ ১৯৩৯ সালে তুরস্কে এ ধরনের ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। সে বছর ভূমিকম্পে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস। সংস্থাটি আরও জানায়, এ ধরনের ভূমিকম্প খুবই বিরল। গত ২৫ বছরে মাত্র ৭বার তুরস্কে ৭ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। তবে আজকের ভূমিকম্পটি সবচেয়ে শক্তিশালী।
বিবিসি জানিয়েছে, প্রথমবার ভূমিকম্প আঘাত হানার পরও বিভিন্ন মাত্রার আরও ১৮টি ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।
সৌদি আরবের গণমাধ্যম আল আরাবিয়া আজ সোমবার জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে লেবাননের কিছু বাসিন্দা বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
ভানেস এলাকায় অবস্থিত জাতীয় ভূপদার্থবিদ্যা কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, লেবাননের উপকূল থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে সাইপ্রাস ও লেবাননের মাঝে অবস্থিত সমুদ্রে ৪ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।
প্রতিবেদন মতে, প্রায় ৪০ সেকেন্ড ধরে লেবাননে ভূকম্প অনুভূত হয়।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ইসরায়েলে ভূকম্প অনুভূত হলেও কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানা যায়নি।