বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। একটি মহল রিজার্ভ নিয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে সুনামগঞ্জে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎবার্ষিকী এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির হাছনরাজা মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা পরিষদ।
এম এ মান্নান বলেন, ‘বিএনপির আমলে ২০০৯ সালে রিজার্ভ ৫ বিলিয়ন ডলার ছিল। সেই জায়গা থেকে বর্তমান সরকার ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। আমাদের রিজার্ভ তলানিতে থাকার প্রশ্নই ওঠে না। প্রবাসীদের শ্রমে-ঘামে অর্জিত অর্থ দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। তারা এখন বেশি পরিমাণে টাকা পাঠাচ্ছেন। প্রবাসীরা আমাদের রিজার্ভ বৃদ্ধির মহানায়ক, তাদের স্যালুট দিই।’
রিজার্ভ নিয়ে ভয়ের কোনও কারণ নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ডলারের দামের ওপর সরকারের একটি প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ছিল, বিশ্ব বাজারের চাপে তা ভেঙে পড়ে। তাই ডলারের দাম বেড়ে যায়। এখন আবারও ডলারের দাম কমতে শুরু করেছে। এটি আরও সুসংহত হবে। ডলার আমাদের টাকা নয়, এটি বিশ্ব মোড়ল মার্কিনিদের মুদ্রা।
বাংলাদেশে ডলারের রিজার্ভ ভালো আছে দাবি করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘এখন সারা বিশ্বে গ্যাসের নতুন বাজার সৃষ্টি হয়েছে। সেজন্য বাংলাদেশের ওপর চাপ রয়েছে। গ্যাস-কয়লা এমন জিনিস নয় যে, খুঁজলেই পেয়ে যাবো। গ্যাস-কয়লা অনুসন্ধানে সময় লাগবে। আগামী দিনের শক্তির উৎস গ্যাস নয় কয়লা নয় তেলও নয়; আগামী দিনের শক্তির উৎস হবে নবায়নযোগ্য সৌরশক্তি। সরকার সে পথে হাঁটছে।’ বাংলাদেশ একা নয়, সারাবিশ্বই সৌরশক্তির ব্যবহারের দিকে যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে চা শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রসঙ্গেও কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সরকার চা শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির বিষয়ে সচেতন আছে। যারা কায়িক শ্রম দিয়ে জীবনযাপন করে, তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করা প্রয়োজন। তারা দারিদ্র্য ও অবিচারের শিকার। চা শ্রমিক কল্যাণের জন্য অনেক সংস্কারের প্রয়োজন আছে। তবে বাগান মালিকরা তাদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দেন, তা টাকায় নয়। সরকারও তাদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করতে চায়।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়