হারিকেন ধরা বিএনপিকে হয়তো হারিকেন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রী আজ সকালে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘’মুসলিম লীগের প্রতীক প্রথমে ছিল সাইকেল। পরবর্তীতে প্রতীক করে হারিকেন। কিন্তু হারিকেন দিয়েও বর্তমানে মুসলিম লীগকে খুঁজে পাওয়া যায় না। তেমনি বিএনপি তাদের ধানের শীষ মার্কা বাদ দিয়ে হারিকেন ধরেছে। তাই আমার মনে হয় হারিকেন দিয়ে খুঁজেও বিএনপিকে পাওয়া যাবে না।’
বর্তমান বিশ্বপ্রেক্ষিত উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘পৃথিবীতে এখন সংকট চলছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের মূল্য ৭০ থেকে ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে বাংলাদেশেও জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে, তবুও অনেক দেশের চেয়ে কম। যারা বিশ্বাস করেন না তারা পদ্মা পার হয়ে পশ্চিমবঙ্গে গেলেই দেখবেন সেখানে ডিজেল প্রতি লিটার ১১৬ টাকা, আমাদের ১১৪ টাকা। যখন পৃথিবীতে স্থিতিশীলভাবে দাম কমবে, তখন বাংলাদেশেও মূল্য সমন্বয় করা হবে, কমবে। তেলের এই দাম বৃদ্ধি নিয়ে কারও মাঠ গরম করার সুযোগ নেই। কিন্তু বিএনপিসহ কিছু দল ও প্রতিষ্ঠান জ্বালানি তেলের মূল্য নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়, বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে সন্ত্রাসী দেশ হিসেবে প্রমাণ করতে চায়। তারা আরেকটি ১৫ আগস্ট সৃষ্টি করতে চায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ একটি বৃহত্তম দল। এই দলের নেতাকর্মীরা বেঁচে থাকতে তাদের এই আশা কোনো দিন পূরণ হবে না।’
শোক দিবসকে সামনে রেখে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিলো, কারণ বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর পাকিস্তানের সাথে কনফেডারেশন করার, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের এবং রেডিও, টেলিভিশনসহ সব ক্ষেত্রে পাকিস্তানি ভাবধারা ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা হয়েছিলো। তারপরের ২০ বছরের অচলাবস্থা ভেঙ্গে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে আবার সরকার গঠন করার মধ্য দিয়ে এবং ২০০৮ সালে সরকার গঠন করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে সাড়ে ১৩ বছরে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, তার ফলে বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর সামনে একটি গর্বিত রাষ্ট্র।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়