পেয়ার আহাম্মদ চৌধুরী, ফেনী জেলা প্রতিনিধি:
ফেনীর দাগনভুইয়ার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের দেউলিয়া নুরানীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে নির্মম নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
একপর্যায় নির্যাতিত শিশুটি মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে রাত ৩টায় টহলরত পুলিশের গাড়ীর সামনে পড়লে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।পরে সকালে নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক ফখরুল ইসলামকে মাদ্রাসা থেকে আটক করে।
পুলিশ ও শিক্ষার্থীর বাবা আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, শিশু জাহিদুল হাসান ঈমাম (৭) কে চলতি বছরের শুরুতে মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু মাদ্রাসাটিতে প্রায় শিশু জাহিদুলসহ অনেক শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করে বলে অভিযোগ শুনা যেতো। তাই গত শুক্রবার শিশু জাহিদুল পালিয়ে যায় এবং নির্যাতনের বিষয়টি বাবাকে জানায়। সে মাদ্রাসায় আর পড়বেনা জানালেও বাবা বুঝিয়ে গতকাল শনিবার বিকেলে তাকে মাদ্রাসায় রেখে যান।
একপর্যায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষ বিষয়টি জেনে ক্ষিপ্ত হয়ে শিশুটিকে লোহার শিকল দিয়ে বেধেঁ মাদ্রাসার একটি কক্ষে আটকে রেখে লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে রাত ৩ টায় শিশুটি বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে রাস্তায় নেমে আসলে টহলরত পুলিশের একটি দল তাকে দেখে উদ্ধার করে।
দাগনভুঞা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান ইমাম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে সকালেই অভিযুক্ত অধ্যক্ষ ফখরুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনায় কেউ অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।