পেয়ার আহাম্মদ চৌধুরী, ফেনী জেলা প্রতিনিধি:
ফেনীর পরশুরামের বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের
সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী ও তাঁর প্রতিবেশী ম্যানেজার সুমন সহ ৫৩ জুয়াড়ীকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব। ১১ জুন চট্টগ্রামের হালিশহরে রিক্রিয়েশন সেন্টার এন্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটির অফিস থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
এসময় আটককৃত আসামীদের হেফাজতে থাকা বিভিন্ন রুম থেকে ১৫৫ সেট তাস, ৪৩০টি (বিভিন্ন রংয়ের) জুয়া খেলার চিপ এবং নগদ ৩,৬৯,৯৯০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-৭ সূত্র জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতেপারে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানাধীন পোর্ট কানেকটিং হালিশহর মার্ট এর উত্তর পাশে নবাব টাওয়ারের ৩ তলায় রিক্রিয়েশন সেন্টার এন্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটির আড়ালে ক্যাসিনো ও জুয়া খেলার উদ্দেশ্যে অনেক লোক সমেবত হয়েছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১১ জুন ২০২২ ইং তারিখ ২২১০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জুয়া খেলারত অবস্থায় ৫৩ জনকে আটক করে।
আটককৃত আসামীরা হলেন, ১। মোঃ ফেরদৌস আলম (৫৭), ২। মোঃ দিদারুল আলম (৫০), ৩। মোঃ সাইফুল ইসলাম (৪১), ৪। মোঃ শাহাবুদ্দিন (৬২), ৫। মোঃ আবুল কালাম আজাদ (৬৬), ৬। মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৪০), ৭। মোঃ আলা উদ্দিন (৫০), ৮। মোঃ শহিদ উল্লাহ (৪৭), ৯। মোঃ জাকির হোসেন চৌধুরী (৫৩), ১০। মোঃ তাওহিদুল মাওলা (৫১), ১১। গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ (৫৯), ১২। মোঃ সাইফুল ইসলাম (৫২), ১৩। মোঃ আব্দুস সালাম (৭২), ১৪। মোঃ জাকির হোসেন(৬৪), ১৫। মোসাদ্দেক (৫৮), ১৬। সুধীর দাস (৭২), ১৭। নোমান (৪৮), পিতা- মৃত দেওয়ান আব্দুল, ১৮। কাজী মোঃ জাকারিয়া (৫৬), ১৯। মোঃ নজরুল ইসলাম (৫৮), ২০। মোঃ সাইফুল আজম (৪২), ২১। মোঃ ফজলুল করিম (৫৪), ২২। মাহফুজজুর রহমান (৪৫), ২৩। মোঃ হেলাল উদ্দিন (৬০), ২৪। মোঃ বাবু (২৭), ২৫। মোঃ শামসুল ইসলাম (৫৩), ২৬। উৎপল চৌধুরী (৪৬), ২৭। রবি শংকর (৪৩), ২৮। মোঃ জসিম (৩৭), ২৯। মোঃ সোহরাফ হোসেন (৪২), ৩০। কাজী মোজাহিদুল ইসলাম নওশাদ (৫২), “প্রতিদিনের খবর 24” ৩১। মহিউদুল্লা কাজল (৫৭), ৩২। মোঃ আরিফুল ইসলাম (৪২), ৩৩। মোঃ ওহিদুর রহমান (৬৩), ৩৪। মোঃ আমিরুল ইসলাম (৬২), ৩৫। গোলাম রসুল (৬২), ৩৬। আব্দুর রশিদ (৪৭), ৩৭। মোঃ নুরুল ইসলাম (৬৪), ৩৮। মাহবুব নবী চৌধুরী (৫৭), ৩৯। মোঃ ফরিদ (৪২), ৪০। আব্দুর শুক্কুর (৫৫), ৪১। মোঃ আবুল হাসান (৩২), ৪২। মোঃ শহীদুল ইসলাম সাগর (২৪), ৪৩। মোঃ সুমন চৌধুরী (৩৫), ৪৪। মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৫০), ৪৫। মোঃ ওমর ফারুক (৫২), ৪৬। মোঃ সোহাগ (১৯), ৪৭। মোঃ জসীম (২৩), ৪৮। মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৫৭), ৪৯। মোঃ রফিকুল হাসান (৩৯), ৫০। আশীষ গুহ (৫৫), ৫১। মোঃ রেজাউল মাওলা (৪২), ৫২। মোঃ মনির আহম্মদ চৌধুরী (৬৫), ৫৩। মোঃ মঞ্জুর আলম (৫৮)।
র্যাব সূত্র আরো জানান রিক্রিয়েশন সেন্টার এন্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটির আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে এই ক্যাসিনো ও জুয়া পরিচালনা হয়ে আসছিল। তারা বেট করতে প্লাষ্টিকের চিপ ব্যবহার করত। তাদের ম্যানেজারের কাছ থেকে অর্থপ্রদান বা ঋণের মাধ্যমে সেই চিপ কিনতে হতো। এই চিপের দাম ৫০০০ টাকা থেকে পরিবর্তিত হয়ে সর্বোচ্চ মূল্য ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হতো। এলাকার যুবসমাজ এই অবৈধ অর্থের প্রলোভনে পড়ে এই ক্যাসিনো ও জুয়া খেলায় জড়িয়ে যেত এবং অনেকে সর্বসান্ত হতো।
গ্রেফতারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।