মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর অর্তকিত হামলা চালানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে তার মনোনয়নপত্রসহ ব্যাগ। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কালকিনি উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ওই হামলার ঘটনার জেরে পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের ভোট রাতে স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন কালকিনি উপজেলা নির্বাচন ও রিটানিং কর্মকর্তা দীপক বিশ্বাস। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নেয়ামুল আকন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তাবকারী ও সর্মথনকারীসহ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের দিকে যান। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নেয়ামুল আকন, তার স্ত্রী রেহেনা পারভীনের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় নেয়ামুল আকন, তার স্ত্রীসহ আরও দুই সমর্থক সহ পুলিশ সদস্য আহত হন। এসময় তাদের বাধা দিতে গেলে মারধর করা হয় উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা দীপক বিশ্বাসকেও। হামলার সময় তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোয়নপত্র, ভোটার কার্ড ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনার পর পরেই উপজেলা চত্বরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অতিরিক্ত পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ এসে পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পুরো বিষয়টি নির্বাচনে কমিশনে লিখিত জানান কর্মকর্তা। পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী নেয়ামুল আকন বলেন, পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে। ওসির সামনেই দুই ঘণ্টাবব্যাপী তাণ্ডব চালায় সন্ত্রাসীরা। মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেয়নি। এক পর্যায়ে মনোনয়নপত্রের ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় তারা। আমি সন্ত্রাসীদের বিচারও দাবি করছি। কালকিনি উপজেলা নির্বাচন রিটানিং কর্মকর্তা দীপক বিশ্বাস জানান, পুলিশের উপস্থিতিতেই এই হামলার ঘটনা ঘটে। তাদের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত জানানো হয়েছে। পরে নির্বাচন বন্ধ হবার সিদ্ধান্ত হয়। মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ঘটনার ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং হামলার ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। এদিকে হামলার ঘটনায় পূর্ব এনায়েতনগর ইউপি নির্বাচন বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি ঘটনা তদন্ত করে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল নির্বাচন কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। উল্লেখ্য, আগামী ১৫ জুন এই ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
আপনি যা যা মিস করেছেন
Add A Comment