যারা ক্ষমতায় থাকতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিরোধী দলীয় নেত্রীকে হত্যার চেষ্টা করতে পারেন, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায়না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
বুধবার কুষ্টিয়ায় নিজ বাসভবনে কুষ্টিয়া পৌর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালিন রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিরোধী দলীয় নেত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। যারা ক্ষমতায় থাকতে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বিরোধী দলীয় নেত্রীসহ নেতাদের হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতা পাকপোক্ত করতে চেয়েছিলেন, তার মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না।
তিনি বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে যারা হত্যা করেছিল তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা এটা একটা হাস্যকর বিষয় ছাড়া আর কিছুই না।
বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে আদালত কতৃক দন্ডিত হয়ে কারাগারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে তিনি এখন বাসায় আছেন। তিনি যদি বলেন দেশের অর্থনীতির মুক্তির জন্য, গণতনন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে হবে- তবে এর চেয়ে হাস্যকার কোন উক্তি আর হতে পারেনা। খালেদা জিয়া একজন দন্ডপ্রাপ্ত কয়েদি। একজন দন্ডপ্রাপ্ত কয়েদির কারাবিধি অনুযায়ী যতটুকু সুযোগ সুবিধা পায়, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার মানবতায় তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা তিনি পাচ্ছেন।
নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা নেই’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যর জবাবে হানিফ বলেন, রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে রাখার জন্য যাদেরকে ব্যবহার করা যায়- তাদের উপর বিএনপির আস্থা রয়েছে, জনগনের উপরে বিএনপির কোন আস্থা নেই।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়