রাত পোহালেই ঈদুল ফিতর,ঈদের ছুটিতে মানুষজন ঘুরতে যেতে পারেন রাজধানীর বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে। তাদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে অন্যতম বিনোদনকেন্দ্র মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা।
সোমবার দুপুরের দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদের আগেরদিনই অনেকে পরিবার নিয়ে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছেন। দর্শনার্থীদের উপস্থিতির মধ্যেই চিড়িয়াখানার বিভিন্ন শেডের আশপাশ পরিষ্কার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে কথা হয় জাতীয় চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. মজিবুর রহমান বলেন, দুই বছর তো করোনায় গেল। এবার চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ভিড় হবে। এ লক্ষ্যে আমাদের প্রস্তুতি ব্যাপক। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা, তাদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে।
এছাড়া চিড়িয়াখানার প্রাণীগুলোর জন্য আমরা কিছু মেডিসিন ব্যবহার করছি। কারণ অনেক দর্শনার্থী যেহেতু আসবেন, সেহেতু মেডিসিন ব্যবহার না করলে প্রাণীগুলোর মধ্যে বিভিন্ন রোগ-বালাই ছড়াতে পারে।
ঈদে চিড়িয়াখানায় নতুন কিছু সংযোজন হয়েছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নতুন কিছু প্রাণী সংযোজন হবে। তবে সেগুলো এখনও আসেনি। আফ্রিকান সিংহ, ক্যাঙ্গারুসহ আরও কয়েকটি প্রাণী আনা হবে। এছাড়া যে প্রাণীগুলো চিড়িয়াখানায় আছে, সেগুলো নিয়মিত চেকআপ করার পাশাপাশি খাবারের মান ভালো রাখার চেষ্টা করছি।’
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রাণী ও দর্শনার্থীদের আগমনের বিচারে সবচেয়ে বড় চিড়িয়াখানা মিরপুরেরটি। ৭৫ হেক্টরের এ চিড়িয়াখানায় গেল দুই বছর করোনার জন্য দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে এবার আর তা থাকছে না।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়