পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের(র্যাব) সম্মিলিত কার্যক্রমকে স্মরণীয় করে রাখতে সংস্থাটির সাবেক ও বর্তমানে সব সদস্যকে ‘ইনসিগনিয় ব্যাজ’ দেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এর অনুমোদন দেওয়া হয়।
আজ সোমবার ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ইনসিগনিয়া ব্যাজ পরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বিশেষ এ ব্যাজটি র্যাব সদস্যরা আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক পোশাকের সঙ্গে পরিধান করতে পারবেন। সব র্যাব সদস্যদের জন্য এ ইনসিগনিয়া ব্যাজ হবে অনন্য সম্মান ও গৌরবের প্রতীক।
র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় ২০০৪ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি বিশেষায়িত বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে র্যাব। প্রতিষ্ঠার পর র্যাব জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
মাদক ছাড়াও র্যাবের অভিযানে সুন্দরবন ও উপকূলীয় অঞ্চলে সন্ত্রাসী কার্যক্রম শূন্যের কোঠায় এসেছে। যার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন। অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অনবদ্য ভূমিকার জন্য র্যাব এখন সাধারণ মানুষের কাছে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক।
র্যাব ৮টি বাহিনী ও সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস এলিট ফোর্স। যেখানে বিভিন্ন বাহিনী থেকে আসা সদস্যরা একটি নির্দিষ্ট সময় সেবা প্রদান করে আবার নিজ বাহিনীতে ফিরে যান।
র্যাবের এই সম্মিলিত কার্যক্রমকে স্মরণীয় করে রাখতে সব র্যাব সদস্যদের জন্য ‘ইনসিগনিয়া’ প্রবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।