জবি সংবাদদাতা:
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি কন্টিনজেন্টের উদ্যোগে উদযাপিত হয়েছে বিএনসিসি’র ৪৩তম দিবস। বুধবার দুপুর ১টার সময় জবি উপাচার্য রুমে বিএনসিসি কন্টিনজেন্টের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বিএনসিসি দিবসের কেক কাটেন।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, ‘তোমাদের এই কার্যক্রম আরো বেগবান হবে। আমরা চাই যে এ সব দিকে আরো বেশি নজর দাও। প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর এ ধরনের এক্সটা কারিকুলার একটিভিটিসের সাথে যুক্ত থাকা উচিত। এর ফলে মন মানসিকতা ভালো থাকে এবং ভালো কিছু করার আগ্রহ জাগে।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘বিএনসিসি দেশের কাজে সবসময় পাশে থেকে আমাদের সহযোগিতা করে। এই বিএনসিসি দেশ গঠন ও দেশের কল্যাণে কাজ করে যাবে এবং তাদের যে সুশৃঙ্খল প্রশিক্ষণ ও দক্ষ যে জনসমষ্টি আমরা এখান থেকে আশাকরি পাবো। আমি বিএনসিসি’র অগ্রগতি ও সাফল্য কামনা করি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বিএনসিসি স্বাধীনতার শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। বিএনসিসি জাতির প্রয়োজনে, দেশের প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকে। বিএনসিসির এই ধারা দেশে ও দেশের বাইরে অব্যাহত থাকবে।’
কোম্পানি কমান্ডার ও অফিসার ইনচার্জ পিইউও আতিয়ার রহমান বলেন, ‘জ্ঞান এবং শৃঙ্খলা মূল মন্ত্রে দীক্ষিত এবং স্বেচ্ছাসেবী এর চেতনায় উদ্বুদ্ধ, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের ৪৩তম শুভ জন্মদিনে বিএনসিসি এক্স ক্যাডেট জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল, পিইউও শফিকুল ইসলাম, পিইউও সাজিয়া আফরিন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন এবং বিএনসিসি সিইউও মোঃ মামুন শেখসহ একদল চৌকস ক্যাডেট।