সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রসঙ্গে সোমবার এমন মন্তব্য করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন এক মুখপাত্রের কাছে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে তিনি পাকিস্তানের সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে বলে জানান। বলেন, আমরা নিবিড়ভাবে পাকিস্তানের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে চলেছি। যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া এবং আইনের শাসনকে সম্মান করে। পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে দীর্ঘ সহযোগিতামূলক সম্পর্ক রয়েছে তা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য মূল্যবান। শক্তিশালী, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক পাকিস্তান সবসময়ই মার্কিন স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ডনের খবরে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য অনেক সমালোচকই যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ি করছেন।
তাদের দাবি, ইমরান খানের সরকারকে উৎখাতে বিভিন্নভাবে সমর্থন যোগাচ্ছে ওয়াশিংটন। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে ও কূটনৈতিক পর্যায় থেকে যুক্তরাষ্ট্র এমন দাবি অস্বীকার করেছে এবং এ ধরণের অভিযোগকে ভুল বলে উড়িয়ে দিয়েছে। উল্টো পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ কারণেই এই রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি।
শুক্রবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে সতর্কভাবে এগিয়ে যেতে চায়। তবে এক সময়কার এই ঘনিষ্ট মিত্রের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি তিনি। তিনি বলেন, আমাদের পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক রয়েছে। আমরা কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে এই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাব।