মোঃ রোমান বেপারী, মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের শিবচরে চাঞ্চল্যকর দাদন চোকদার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আরমানকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে শিবচর থানা পুলিশ। বুধবার (ডিসেম্বর-৮) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর কাপ্তান বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রাত ৮ টার দিকে শিবচর থানায় তাকে আনা হয়। তিনি মামলায় এজাহারভুক্ত ১৩ নম্বর আসামি।
আজ বৃহস্পতিবার (ডিসেম্বর-৯) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন শিবচর থানার ওসি।
গ্রেফতারকৃত আসামি আরমান শিবচর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের পূর্ব শ্যামাইল গ্রামের মৃত ছামাদ শেখের ছেলে।
শিবচর থানা সূত্রে জানা যায়, শিবচর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের পূর্ব শ্যামাইল গ্রামের মৃত আদম চোকদারের ছেলে দাদন চোকদারের সাথে জমিজমাসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে পার্শ্ববর্তী সেলিম শেখের সাথে গত ১ বছর ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এই দ্বন্দ্বের জেরে গত ১ বছর আগে একটি মারামারি হয়। পরে এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা হয়। সম্প্রতি দাদন চোকদারের পক্ষে মামলায় রায় দেয় আদালত।
কিন্তু অভিযুক্ত সেলিম সেখসহ তার ছেলে ও ভাতিজারা সে রায় মেনে না নিয়ে দাদন চোকদারকে হত্যার হুমকি দেয়। পরে (২৩ নভেম্বর) দুপুরে দাদন চোকদার শিবচর বাজার থেকে ভ্যানযোগে সেলিম সেখের বাড়ির সামনে দিয়ে তার নিজ বাড়ি যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষ সেলিম শেখ, মেহেদি মাদবর, নজরুল শেখসহ এজাহার নামীয় আসামীসহ অজ্ঞাত আসামিরা তাকে ভ্যান থেকে নামিয়ে রাস্তার উপর ফেলে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। কোপানোর একপর্যায়ে কুপিয়ে দেহ থেকে পা বিচ্ছিন্ন করে। এছাড়াও বুকে ও মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পরে থাকতে দেখে স্থানীয় কয়েকজন লোক তার বাড়িতে খবর দেয় ও তাকে উদ্ধার করে শিবচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় পরের দিন (২৪ নভেম্বর) সকালে মৃত দাদন চোকদারের ভাই পান্নু চোকদার বাদী হয়ে নজরুল শেখ, সেলিম সেখসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে শিবচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ১৫ দিন পরে বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির সাহায্য শিবচর থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (সেকেন্ড অফিসার) মো. রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে শিবচর থানা পুলিশের একটি দল রাজধানীর কাপ্তান বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মিরাজ হোসেন বলেন, আমরা চাঞ্চল্যকর এই মামলার একজন আসামিকে ঢাকা থেকে আটক করেছি। বাকিদের ধরতেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। খুব তাড়াতাড়ি বাকীদের ধরা হবে।