মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৪

শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রধান শিক্ষকের পকেটে

যা যা মিস করেছেন

মোঃ মহিবুল ইসলাম, বরগুনাঃ
বরগুনা সদর উপজেলা কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের হরিদ্রাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক নিজের ছেলে ও স্বামীর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরের একাউন্ট ব্যবহার করে তাদের সন্তানদের নামে বরাদ্দ উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত করেছেন। শনিবার বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মলেন করেছেন দু’জন অভিভাবক।

ওই বিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী জিসান ও মুসার বাবা জামাল হোসেন এবং পলী আক্তারের বাবা আলম খান গতকাল শনিবার বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২০১৮ সালে সরকার উপবৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরে মোবাইল ব্যংকিংয়ের একাউন্টের মাধ্যমে দেয়ার ব্যবস্থা করে।

প্রধান শিক্ষক লায়লা পারভীন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে একাউন্ট খুলে দেন। কিন্ত ওই বছর তৃতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়নরত মুসা কলিম ও ৫ম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত জিসানের নামে আসা উপবৃত্তির টাকা প্রধান শিক্ষকের স্বামী রুহুল আমিন ও ছেলে আলিফের ফোন নম্বর ব্যবহার করে উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন।

জামাল হোসেনের সরবরাহকৃত ওই বিদ্যালয়ের উপবৃত্তির শীটে দেখা যায়, ২৫২৫৯৭৬ ক্রমিকে মুসার নামের ব্যবহৃত মোবাইল একাউন্টের ০১৭১৬৯৩৩৭৫৫ নম্বরটি ব্যবহার করে উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। একইভাবে ২৫২৫৯৭৬ ক্রমিকে জিসানের উপবৃত্তির টাকাও একই নম্বও ব্যবহার করে উত্তোলন করা হয়েছে।

নম্বর ব্যবহারকারী যাচাই করতে কল করা হলে প্রধান শিক্ষকের ছেলে আলিফ কল রিসিভ করেছেন।

এছাড়া ২৫২৫৯৮০ ক্রমিকে পলী নামের শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা ০১৭১২৩৯০৩৯০ নম্বও ব্যবহার করে উত্তোলন করা হয়েছে। এই নম্বরটিতেও কল করে প্রতিবেদক নিশ্চিত হয়েছেন এটি প্রধান শিক্ষকের স্বামী রুহুল আমি ব্যবহার করেন।

জামাল হোসেন বলেন, ২০১৮ সাল থেকে তার দুই ছেলের নামে আসা উপবৃত্তির সব টাকাই প্রধান শিক্ষক লায়লা আত্মসাত করেছেন। নিয়ে সাথে দেন দরবার করলে পলীর অভিভাবক আলম খানকে ছয় হাজার টাকা প্রধান শিক্ষক ফেরত দিয়েছেন বলে আলম জানান।

অভিযোগের বিষয়ে হরিদ্রাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লায়লা পারভীনের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বােরে একাধিক বার কল করে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

বরগুনা জেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শওকত আলী খান হিরণের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ আমারা লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তের জন্য গত ২৯ নভেম্বর প্রধান শিক্ষককে চিঠি দিয়েছি। তদন্তের পর বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security