সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসেই ঢাকায় আসছেন নেট দুনিয়ায় আলোচিত হাবিব-নাতালিয়া দম্পতি। হাবিব বাংলাদেশের ছেলে। নাতালিয়া বেলারুশের মেয়ে। তাদের সাংসারিক জীবনের নানা খুঁটিনাটির মজার সব ভিডিও নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। তারা ভ্রমণ, শপিং, রান্না-বান্না, খেলাধুলার ভিডিও আপলোড করেন ফেসবুক ও ইউটিউবে।
নাদিয়া নামে তাদের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। এবারই প্রথম নাতালিয়া তার কন্যাকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বাংলাদেশে আসছেন।
এ দম্পতি আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবেন। আর চলতি মাসের শেষের দিকে রাজধানীর একটি কনভেনশন হলে তাদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে। মূলত এটি হবে একটি গেট-টুগেদার পার্টি। মুঠোফোনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এমনটাই জানালেন হাবিব।
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে হাবিব ও নাতালিয়া তাদের বাংলাদেশে আসার কথা জানিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, বড়দিনের ছুটিতে তিন সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশে আসবেন। এরই মধ্যে টিকিট কেটেছেন তারা। বাংলাদেশ ভ্রমণ নিয়ে সবার কাছে পরামর্শও চান। নতুন বছর বাংলাদেশে উদযাপন করবেন এ দম্পতি। তখন নাতালিয়া জানান, বাংলাদেশে পরিবারের সঙ্গে তিনি সময় কাটাতে চান। পাশাপাশি বাংলাদেশের সুন্দর সুন্দর জায়গাগুলো ঘুরে দেখতে চান।
যেভাবে নাতালিয়ার সঙ্গে হাবিবের পরিচত ও বিয়ে :
জার্মানির বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ স্টেডিয়ামে কাজ করতে গিয়ে হাবিবের সঙ্গে পরিচয় নাতালিয়ার। এরপর ২০১৭ সালের ৯ জুলাই বিয়ে করেন তারা। বর্তমানে তারা জার্মানির পূর্বাঞ্চলের সাক্সনি অঙ্গরাজ্যের কেমনিজ শহরে থাকেন।
হাবিবের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানায়। পড়াশোনা করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০১২ সালে জার্মানির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখে উচ্চশিক্ষার জন্য যান তিনি। বর্তমানে পড়াশোনা শেষে জার্মান একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটিং ফার্মে ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন। আর ফার্মাসিতে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে বর্তমানে নাতালিয়া একটি কোম্পানিতে ফার্মাসিস্ট হিসেবে কর্মরত।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত হয়ে ওঠেন যেভাবে:
২০২০ সালের অক্টোবরের শেষে শখের বশেই ‘নাতালিয়া অ্যান্ড হাবিব- দ্য মিক্স ম্যাচ ফ্যামিলি’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ খোলেন তারা। অল্পদিনেই তাদের ইউটিউব চ্যানেলটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তাদের ফেসবুক পেজের ফলোআরের সংখ্যা সাড়ে ২১ লাখ ছাড়িয়েছে। বিনোদনের পাশাপাশি সামাজিক বার্তামূলক ভিডিও, যেমন নারীদের সম্মান ও অধিকার, সাংসারিক কাজে পুরুষদের সহায়তা করা, বাচ্চাদের সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও তাদের দৈনন্দিন জীবনের পজিটিভ দিকগুলো তুলে ধরেন।