নভেম্বর মাসে রেকর্ড দাম ওঠার পর চলতি মাসে সর্বোচ্চ পতন দেখল বিটকয়েন। গতকাল শনিবার অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির সঙ্গে সঙ্গে পতন হয় বিটকয়েনের দাম। ডিজিটাল মার্কেটে বিটকয়েনের এবার শতকরা ২০ ভাগ পতন হয়েছে। এতে বিশ্বজুড়ে অর্থ বাজারে আরেকটি বড় ঝুঁকির ইঙ্গিত দিচ্ছে। রয়টার্স তার প্রতিবেদনে এ কথা জানায়।
বাজারে অস্থিরতার মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ ডিজিটাল কয়েন বিটকয়েনের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ২৯৬ ডলার। এর আগে শনিবার সিঙ্গাপুরে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে তা বিক্রি হচ্ছিল ৪৭,৬০০ ডলারে। ফলে এদিন দরপতন হয়েছে শতকরা প্রায় ১১ ভাগ। অন্যদিকে দ্বিতীয় বৃহৎ ডিজিটাল কয়েন ইথারের দাম পড়ে যায় শতকরা প্রায় ১৭.৪ ভাগ। পরে অবশ্য সেখান থেকে এই পতন শতকরা প্রায় ১০ ভাগে উঠে আসে। কয়েনগিকো নামে ট্র্যাকারের মতে, পুরো ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য প্রায় এক-পঞ্চমাংশ হারিয়ে এর মূল্য দাঁড়িয়েছে ২.২ ট্রিলিয়ন ডলার। আর্থিক বাজারে এক অস্থির অবস্থার মধ্যে এমন ঘটনা ঘটেছে। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো তার আর্থিক নীতি কঠোর করছে। এতে তারল্য কমে যাওয়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে বিশ^জুড়ে। তা থেকে ঝুঁকি আসছে। নভেম্বরে এ কারণে বিশ^ স্টকের দরপতন হয়েছে শতকরা ৪ ভাগেরও বেশি। সিঙ্গাপুরের লুনো ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ লুনোর এশিয়া প্যাসিফিকের প্রধান বিজয় আয়ারের মতে, শনিবার বিটকয়েনের এমন পতনে ক্রেতারা দূরে অবস্থান করতে থাকেন। ফলে এর দাম পড়ে যায়। ওমিক্রন নিয়ে যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে আর্থিক বাজারে দেখা দিয়েছে হতাশা।
ফলে অর্থনীতিতে, মার্কেটে কী ঘটবে তা বলা খুবই কঠিন। বিষয়টি এখন অনিশ্চিত। এ অবস্থায় কয়েনগ্লাস ডটকমের মতে, শুধু শনিবার দীর্ঘমেয়াদি এবং স্বল্পমেয়াদি প্রায় ২.৪ বিলিয়ন ডলারের ক্রিপ্টোকারেন্সি তরলীকরণ করা হয়েছে। ৭ সেপ্টেম্বর থেকে এটা এক দিনে সর্বোচ্চ তরলীকরণের ঘটনা। ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্যে বিটকয়েন সবচেয়ে অস্থিতিশীল। গত ১০ নভেম্বর এর দাম রেকর্ড স্পর্শ করার পর পতন হয়েছে প্রায় ২১ হাজার ডলার।