মোঃ মহিবুল ইসলাম, বরগুনাঃ
বরগুনা জেলা পাথরঘাটা উপজেলা সাড়ে তিন লাখ মানুষের বসবাস। দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস এ এলাকার বেশিরভাগ মানুষই। তাদের প্রধান পেশা বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের।
এ এলাকার মানুষের চিকিৎসা ব্যাবস্থার জন্য ৫০ সজ্জা একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থাকলেও নেই কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩১ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ১১ জন মেডিকেল অফিসার। এর মধ্যে চারজন রয়েছে ডেপুটেশনে। একজন রয়েছে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। সাড়ে তিন লাখ মানুষের জন্য এই ছয় জন চিকিৎসকে সামাল দিতে বেগ পোহাতে হয় বলেও অনেক চিকিৎসকের সাথে কথা বলে জানা যায়।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর রেজিস্টার সূত্রে জানা যায় প্রতিদিন পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় দেড়’শ থেকে দুই’শ নতুন রোগী আউটডোরে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন।
ছাড়াও জরুরি বিভাগে অর্ধশত রোগী জরুরী সেবা নেন। এর মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ জন হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নেন। স্বল্পসংখ্যক চিকিৎসক দিয়ে স্বাস্থ্যসেবার মান নিশ্চিত করতে চিকিৎসকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা সাইফুল হাসান।
সাধারণভাবে রেজিস্টারে ডাক্তার সংযুক্ত থাকলেও কর্মস্থলে চিকিৎসক নাই। এ কারণে চারজন ডেপুটেশন থাকা চিকিৎসকের সংযুক্ত বাতিল চেয়ে সিভিল সার্জনের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
এছাড়াও একজন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক রোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই কোন রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা।
নেই কোন বিশেষজ্ঞ তাই সাধারণ কোনো অসুস্থতা নিয়ে আসলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সংকটের কারণে তাদেরকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডাক্তার মারিয়া হাসান জানান, এ বিষয়ে প্রতিমাসে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়। চিকিৎসা সংকট থাকার কারণে ঘাটতি মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে অতি শীঘ্রই একটি সুরাহা হবে বলে জানান তিনি।