মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৪

বউ পেটানোর পক্ষে মত দিলেন নারীরাই!

যা যা মিস করেছেন

বউ পেটানোর বিষয়ে এক সমীক্ষায় এর পক্ষে মত দিয়েছেন ভারতের তেলঙ্গানার নারীরা। বৌ পেটানো কি ঠিক? দেশটির সরকারি সমীক্ষায় এই প্রশ্নের উত্তরে তেলঙ্গানার ৮৩.৮ শতাংশ মহিলা বলেছেন, ঠিক। এ ক্ষেত্রে মেয়েদের মধ্যে সমীক্ষায় ‘হ্যাঁ’-এর বিচারে তেলঙ্গানা যেমন শীর্ষে, তেমনই পুরুষদের মধ্যে সবার আগে কর্নাটক। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

সেই দক্ষিণী রাজ্যের ৮১.৯ শতাংশ পুরুষ মনে করেন, স্বামী যদি স্ত্রীকে মারেন, তাতে কোনও দোষ নেই! পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১৩টি রাজ্যে এই সমীক্ষার আওতায় আসা মহিলারাই মনে করছেন, শ্বশুরবাড়ির লোকেদের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করাটাই স্বামীর হাতে স্ত্রীর নিগ্রহের প্রধান কারণ।

২০১৯-২১ সালের মধ্যে এবারের সমীক্ষাটি হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, গোয়া, গুজরাত, হিমাচলপ্রদেশ, কর্নাটক, কেরালা, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, তেলাঙ্গানা, ত্রিপুরা এবং কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে।

কেন্দ্রীয় সমীক্ষকরা প্রশ্ন রেখেছিলেন, স্বামী যদি স্ত্রীকে আঘাত করেন বা মারধর করেন, তা কি ঠিক?

সেই প্রশ্নেরই উত্তর বাছাই করে দেখা যায়, ‘হ্যাঁ’-এর শতকরা হিসেবে পুরুষদের মধ্যে কর্নাটক এবং নারীদের মধ্যে তেলাঙ্গানা শীর্ষে। দুই তালিকাতেই সবার শেষে হিমাচলপ্রদেশ। সে রাজ্যের মাত্র ১৪ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ নারী মনে করেন, কাজটা ঠিক।

নারীদের ‘হ্যাঁ’-এর তালিকায় বেশ উপরের দিকেই রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ (৮৩ দশমিক ৬ শতাংশ), কর্নাটক (৭৬ দশমিক ৯ শতাংশ), মণিপুর (৬৫ দশমিক ৯ শতাংশ) এবং কেরালা (৫২.৪ শতাংশ)।

পুরুষদের মধ্যে সমীক্ষায় এক্ষেত্রে শেষের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ত্রিপুরা (২১ দশমিক ৩ শতাংশ)। যারা বলছেন বউ পেটানো ঠিক, কোন কোন কারণে তা মনে করছেন? এক্ষেত্রে সমীক্ষকরা সম্ভাব্য সাতটি কারণের কথা জানতে পেরেছেন।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১৩টি রাজ্যের নারীদের অভিমত, স্ত্রীর তরফে শ্বশুরবাড়ির লোকদের অশ্রদ্ধাই পারিবারিক দ্বন্দ্বের প্রধান কারণ। দ্বিতীয় কারণ হিসেবে উঠে এসেছে সংসার ও সন্তানদের অবহেলা করা। এই সম্ভাব্য কারণের তালিকায় সবার নীচে রয়েছে পরকিয়ার সন্দেহ। কিন্তু মিজোরামের নারীদের মতে আবার সেটাই প্রধান কারণ।

২০১৮ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষার আগের রিপোর্টে দেখা গিয়েছিল, সারা ভারতের ৫২ শতাংশ নারী এবং ৪২ শতাংশ পুরুষ পারিবারিক হিংসাকে যুক্তিযুক্ত বলে মেনে নিচ্ছেন।

সাম্প্রতিক সমীক্ষায় বিভিন্ন রাজ্যে ওই শতকরা হার আশির ঘরে পৌঁছানো নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেকে। নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রধান সারদা এ এল বলছেন, এ হলো এক ধরনের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব, যা নারীদের একাংশের মনের মধ্যে গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে। তারা মনে করছেন, পরিবার ও স্বামীর সেবা করে যাওয়াটাই তাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security