সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই দেশে সব ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাসের পাশাপাশি উন্নয়নের সুফল সমানভাবে উপভোগ করছে। বাংলাদেশ এখন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান।
প্রতিমন্ত্রী আজ বুধবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে তার অফিস কক্ষে শারদীয়া দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
ডা. মুরাদ হাসান বলেন, আমি বিশ্বাস করি না, এদেশে শারদীয় দূর্গোৎসব সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একার উৎসব। এটা জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবার উৎসব। এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার উন্নয়নে কাজ করেছেন। তাঁর (শেখ হাসিনা) ওপর সকলেরই অগাধ আস্থা রয়েছে বিধায় করোনাকালীন সময়েও দেশে ৩২ হাজার ১শ’ ৮০টি পূজা মন্ডপে উৎসবের আমেজে শারদীয় দূর্গোৎসব উদযাপিত হচ্ছে।
শৈশবের স্মৃতিচারণ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্র জীবনে আমরাও শারদীয় দূর্গোৎসবে সনাতন ধর্মাম্বলী বন্ধুদের বাড়িতে যেতাম এবং নানা ধরনের খাবার খেতাম। আমাদের মা-বাবা তো কখনই এব্যাপারে কোনো কথা বলেননি বরং আমাদের উৎসবে সে-বন্ধুদের দাওয়াত করার জন্য নির্দেশ দিতেন।
তিনি বলেন, ‘সকল ধর্মের মানুষ সব-ধর্মের প্রতি তাদের শ্রদ্ধাবোধ প্রদর্শন করছে, এটা আমাদের পূর্ব পুরুষদের শিক্ষা। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে তার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে এখন পুজা হচ্ছে, মসজিদে আজান হচ্ছে- নামাজ হচ্ছে।
বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় এসেই দেশে ধর্মী বিভেদ সৃষ্টি-পূজা উৎসবে বিশৃঙ্খলা করার সংস্কৃতি চালু করেছিল। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা হয় শরৎকালে। তাই এর নাম শারদীয় দূর্গোৎসব।
প্রধানমন্ত্রী হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের সচিবের হাতে দূর্গাপূজা উপলক্ষে ৩ কোটি টাকার আর্থিক অনুদান দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এছাড়াও প্রতিটি পুজামন্ডপে পাঁচ শ’ কেজি করে চালও দেয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী সকলকে একে অপরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহবান জানানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারদীয় দূর্গোৎসব উদযাপনের অনুরোধ জানান।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়