বিদেশি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার বা ক্লিনফিড বাস্তবায়নে বলিষ্ঠ পদক্ষেপের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন জানিয়েছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসি।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে মতবিনিময়কালে বিজেসি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন ‘আমরা দেশের স্বার্থে আইন কার্যকর করেছি, গণমাধ্যমের স্বার্থে, গণমাধ্যমের সাথে যুক্ত সাংবাদিক, শিল্পী-কলাকুশলী সবার স্বার্থে, এবং এ আইন সমগ্র পৃথিবীতে আছে। প্রতিবেশী সকল দেশে এই আইন অনেক আগেই কার্যকর হয়েছে। আমাদের দেশে একটি মহল নানা অজুহাতে এ আইন কার্যকর করতে দেয়নি। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই এবং আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশির ভাগ মন্তব্যই এই সিদ্ধান্তের পক্ষে দেখেছি।
সকল সাংবাদিক এই সিদ্ধান্তের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, যারা টেলিভিশনের মালিক তারা দাঁড়িয়েছেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট এর পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন। সুতরাং এটি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। শুধুমাত্র একটি পক্ষই বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে তা নয়, সেটিকে পুঁজি করে আরো কেউ কেউ বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করেছিল। সেগুলো হালে পানি পায়নি।
ক্লিনফিড নিয়ে অন্যান্য দেশগুলো কত যত্নবান সেই উদাহরণ তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত সরকারের সাথে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ টেলিভিশন ভারতে এবং দূরদর্শন এদেশে সম্প্রচার হয়। ভুলক্রমে একবার বিটিভি’র ইত্যাদি অনুষ্ঠানের ফিডে একটি বিজ্ঞাপন ছিল, সাথে সাথে তারা সম্প্রচার থামিয়ে আমাদেরকে নোটিশ করেছিল। নেপালে এ আইন কার্যকর করার সময় নানা পক্ষ বিরোধিতা করেছিল, এখন নেপালের মতো দেশেও সংশ্লিষ্ট চ্যানেলগুলো ক্লিনফিড পাঠায়।তবে আমাদের এখানে পাঠাতো না।আমাদের এখানে তাদের পক্ষে ওকালতি করার একটা পক্ষ ছিল। কিন্তু এখন সেটি করতে হবেই।
আইন কার্যকর করতে সরকার বদ্ধপরিকর এবং এনিয়ে কেউ বিভ্রান্তি ছড়ালে সেটির বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে উল্লেখ করে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, দেশে অনেক চ্যানেলে ক্লিনফিড আসে, সেগুলো প্রথমে কেউ চালায়নি, এখন অনেকেই চালানো শুরু করেছেন। আমরা আজকেও সময় দিচ্ছি সেগুলো চালানোর জন্য। আগামীকাল থেকে ক্লিনফিড আসা সত্ত্বেও চালানো না হলে, সেটার জন্য মোবাইল কোর্ট চলবে। অন্যান্য ক্যাবল অপারেটিংয়ের শর্তও যদি কেউ না মানে, মোবাইল কোর্টের আওতায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ক্যাবল অপারেটিং লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক হয় এমন কিছু চালানো যায় না স্মরণ করিয়ে ড. হাছান বলেন, কেউ ক্লিনফিড পাঠালেও এমন কিছু যা সমাজ ও পরিবারে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে বা ছেলেমেয়েদের বিপথে ঠেলে দিতে পারে এই ধরণের কনটেন্ট যাতে না যায় সেবিষয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন বলে মনে করি।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ক্লিনফিডের উদ্যোগকে যুগান্তকারী উদ্যোগ বলে বর্ণনা করেন।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়