শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

অ্যাপসে চলবে অ্যাম্বুলেন্স, ঢামেকের ভেতরে থাকবে না পার্কিং

যা যা মিস করেছেন

ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে (ঢামেক) বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স বেপরোয়াভাবে পার্কিংয়ের কারণে নানা রকম সমস্যা হচ্ছে হাসপাতালে আসা যাওয়া লোকদের। হাসপাতালের ভেতর যানজটের কারণে রোগীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

হাসপাতাল চত্বরে তারা বিভিন্ন জায়গায় যেনতেনভাবে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং করে রাখে। এই কারণে কর্তৃপক্ষ চিন্তাভাবনা করছে অ্যাপসের মাধ্যমে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিনা। এই নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সাথে কথা হয়েছে কর্তৃপক্ষের।

মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ঢামেক পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ময়দানে বিশৃঙ্খলভাবে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তখন সেখানে দায়িত্বে থাকা পার্কিং লাইনম্যানকে বলেন, পার্কিং স্পট ছাড়া বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স গুলো বেপরোয়াভাবে হাসপাতালের ভেতর কেন পার্কিং করে রাখা হয়েছে। তখন তিনি নির্দেশ প্রদান করেন, বেপরোয়াভাবে পার্কিং করে রাখা অ্যাম্বুলেন্স গুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলার জন্য।

 

নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, কয়েক বছর আগে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানকে টেন্ডারের মাধ্যমে পার্কিং স্পটের লিজ দেওয়া হয়। হাসপাতালের নির্দিষ্ট দুই একটি জায়গায় গাড়ি পার্কিং করে রাখার নিয়ম থাকলেও লিজ কর্তৃপক্ষ পুরো হাসপাতালই পার্কিং স্পট বানিয়ে ফেলেছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পুলিশ ক্যাম্পের সামনে থেকে শুরু করে নতুন ভবন থেকে বহির্বিভাগ যেখানেই গাড়ি পার্কিং করে সেখানেই তারা একটি টোকেন দিয়ে পার্কিং বাবদ টাকা সংগ্রহ করে।

এছাড়া সূত্রটি আরো জানায়, একটি ভয়ানক বিষয় হচ্ছে কোনো গাড়ি অথবা সিএনজিতে রোগী নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করলে তাদের নামিয়ে দাঁড়ানোর সাথে সাথে সেই পার্কিংয়ের লাইনম্যানরা গাড়ি ও সিএনজি চালককে একটি টিকেট ধরিয়ে পার্কিং ভাড়া ১০ থেকে ২০ টাকা আদায় করে নেয়। এছাড়া হাসপাতালে পার্কিং করে রাখা প্রতিটি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য তাদের মালিকের পক্ষ থেকে বেতনভুক্ত কর্মচারী থাকে। যাদের দায়িত্ব হচ্ছে যাত্রী ধরা। কে কত বেশি ভাড়ায় যাত্রীদের নিতে পারে সে অনুযায়ী তাদের টাকা দেওয়া হয়। এতে করে রোগী ও তাদের স্বজনরা হয়রানির শিকার হয়।

গত জুন ও চলিত মাসের প্রথমদিকে দুইবার র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত ঢামেকে অভিযান চালিয়ে প্রমাণসহ অর্ধশতাধিকের উপরে দালালদের আটক করে তাদের সাজা দেয়। সেসময় অভিযানের পর র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু সাংবাদিকদের জানান, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত সহ সকলের ভরসা ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল (ঢামেক)। এখানে মানুষ চিকিৎসা নিতে এসে বিভিন্নভাবে প্রতারিত হয় বহিরাগত দালালদের মাধ্যমে। তারা বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে রোগীদেরকে অন্যত্র নিম্নমানের হাসপাতালগুলোতে নিয়ে যায়।

তখন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও জানান, বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সদের একটা সিন্ডিকেট আছে, যারা দালালদের কাজে সহযোগিতা করে থাকেন।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক জানান, হাসপাতালের চত্বরে যেনতেন জায়গায় বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স পার্কিংয়ের কারণে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি অ্যাপসের মাধ্যমে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আনুমানিক ১৫০টি অ্যাম্বুলেন্স অ্যাপস এর মধ্যে থাকবে। এসব ব্যাপারে অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সাথে আমাদের কথা হয়েছে। শিগগিরই পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করা হবে। এটি চালু হয়ে গেলেই ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের ভিতরে কোনো বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং করতে পারবে না। তারা বাহিরে নিজ দায়িত্বে অ্যাম্বুলেন্সগুলো রাখবে। অ্যাপসের মাধ্যমে যখন ভাড়া হবে তখনই তারা হাসপাতালে এসে রোগীদের নিয়ে যাবে। এগুলো সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করবে হাসপাতাল থেকে।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security