ঘরের মাটিতে পরাক্রমশালী অস্ট্রেলিয়াকে টি-২০ সিরিজে বিধ্বস্ত করে ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন মাহমুদুল্লাহ, সাকিব, মুস্তাফিজরা। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন পুরোপুরি প্রস্তুত আরেক অপরাজেয় দল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট ও বলের লড়াইয়ে নামতে।
পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে বুধবার বিকেল ৪টায় মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই দল মুখোমুখি হবে।
আগামী ১৭ অক্টোবর শুরু টি-২০ বিশ্বকাপ। ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-২০ বিশ্বকাপের আগেই এটাই বাংলাদেশের শেষ প্রস্তুতি সিরিজ। তাই আনকোড়া কিউইদের বিপক্ষে সিরিজটি মাহমুদুল্লাহদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
জিম্বাবুয়ে ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ দুটি না খেলা মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসকে দেখা যাবে নিউজিল্যান্ড সিরিজে। বাংলাদেশের মটিতে ২০১৩ সালের পর বাইলেটরাল সিরিজ খেলতে এসেছে ল্যাথাম বাহিনী। এবারের সিরিজটি মূলত দুই দল খেলছে টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে।
নিউজিল্যান্ডের যে দলটি এসেছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৬টি টি-২০ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাপুষ্ট ক্রিকেটার কলিন ডি গ্রান্ডহোম। অধিনায়ক ল্যাথাম সর্বশেষ টি-২০ খেলেছিলেন ২০১৭ সালে। দলের তিন ক্রিকেটার এবারই প্রথম সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় দলে। এমন দলের বিপক্ষে পরিষ্কারভাবে ফেবারিট মাহমুদুল্লাহ বাহিনী। প্রতিপক্ষ দলে অনভিজ্ঞ ক্রিকেটারের সংখ্যা বেশি হলেও নিউজিল্যান্ডকে হালকাভাবে নিতে নারাজ টাইগার অধিনায়ক।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেটাররা সবাই ছন্দে রয়েছেন। নিউজিল্যান্ড দলে পরিচিত মুখ না থাকলেও ওরা একটি দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাই ওদের কোনোভাবেই হালকা মেজাজে নেওয়ার কোনো কারণ নেই।’
দুই দেশ এখন পর্যন্ত ১০টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছে পরস্পরের বিপক্ষে। সবগুলো ম্যাচেই হেসেছে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। এবার হয়তো সিরিজের চিত্র পাল্টে যেতে পারে। কেননা পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে মাঠের লড়াইয়ে নামছে মাহমুদুল্লাহ বাহিনী। দুই ক্রিকেটার দলে ফেরায় একাদশে পরিবর্তন আসবে কোনো সন্দেহ নেই। বাদ পড়তে পারেন ওপেনার সৌম্য সরকার ও স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান।