মানিকগঞ্জের ঘিওরে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এক কলেজছাত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় শরিফ মিয়া (৪০) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। সোমবার রাতে মানিকগঞ্জের ঘিওরে বালিয়াখোড়া এলাকায় দ্বিমুখ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত ওই ছাত্রী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত বখাটে শরিফ একই এলাকার বাসিন্দা ও দুই সন্তানের জনক।
ওই ছাত্রীর স্বজনরা জানান, সে মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক শেষবর্ষের ছাত্রী। একই গ্রামের বখাটে শরিফ মিয়ার মেয়েকে প্রাইভেট পড়াত। ওই ছাত্রীর মা বলেন, গত এক বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে মেয়েটিকে মোবাইল ফোনে স্থানীয় এক সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী ছেলের সাথে বিয়ে হয়। মেয়েটির বিয়ের পর থেকে শরিফ তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করতে থাকে। স্বামী প্রবাসে থাকার কারণে কাজল তার বাবার বাড়ি থেকে পড়াশোনা চালিয়ে আসছিলেন।
গত সোমবার রাতে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে থাকায় কৌশলে শরিফ বাড়ির পাশে কাঠ বাগানে ডেকে নিয়ে যায়। এসময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বখাটে শরিফ কলেজছাত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে সে চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে শরিফ পালিয়ে যায়। আশে পাশের লোকজন চিৎকার শুনে এসে মুমুর্ষূ অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে। মেয়েটিকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পরে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে রাজধানী ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার্ড করেন। তার শরীরের ৩৮ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে।
ঘিওর থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। মেয়ের শরীরের ৩৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। মেয়ের মা গতকাল সন্ধায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।