চাকরির বাজারে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিদেশিদের প্রাধান্য নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে দীর্ঘ দিন ধরে। শিক্ষিত তরুণদের একটি বড় অংশ যখন বেকার থেকে যাচ্ছে তখন এর যৌক্তিক সুরাহার দাবি করে আসছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে বিদেশি কর্মী নিয়োগের বিষয়টি সুরাহার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি (বিডা)। ঢাকার ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বর্তমানে বিদেশি বিনিয়োগের প্রতিষ্ঠানে পাঁচজন বাংলাদেশি নাগরিকের বিপরীতে একজন বিদেশি নাগরিক নিয়োগ দেওয়া যায়। রিডার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি যোগ্য কর্মীদের কাজের সুযোগ বাড়াতে শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রকল্প বাস্তবায়নকালে একজন বিদেশী নাগরিকের বিপরীতে ১০ জন বাংলাদেশি এবং উৎপাদনকালে ১ জন বিদেশি নাগরিকের বিপরীতে ২০ জন বাংলাদেশি নিয়োগ দিতে হবে। বাণিজ্যিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই অনুপাত হবে ১:৫ ও ১:১০। এছাড়া মিড লেভেল ম্যানেজমেন্টে বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা বাড়াতে স্তরভিত্তিক নিয়োগের অনুপাতের শর্ত মানতে হবে (১:৫ এর ক্ষেত্রে)। ফলে নিচের সারিতে বাংলাদেশি কর্মীদের রেখে উচ্চ পর্যায় কিংবা ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে বিদেশীদের নিয়ে ১:৫ এর হিসাব মিলিয়ে দেওয়ার সুযোগ থাকবে না।
বিদেশী কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান নীতিমালায় এমন একটি সংশোধনীর প্রস্তাবের ড্রাফট তৈরি করেছে বিডা। আগামী মাসে এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উপস্থাপন করা হবে।বিডা’র পরিচালক আরিফুল হক বলেন, আমাদের এ প্রস্তাব অনুমোদন পেলে প্রতিষ্ঠানের উপরের স্তরে বাংলাদেশি কর্মীদের কাজের সুযোগ বাড়বে। বিদেশি নাগরিক কাজ করে তৈরি পোশাক খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বায়িং হাউজ ও বায়ারদের স্থানীয় অফিসে। বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিবিএ) সভাপতি কাজী ইফতেখার হোসেব বলেন, ‘যেসব খাতে বিদেশী প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জনবলের অভাব, সেখানেই বিদেশী নাগরিক নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। এর বাইরে সব খাতে দরকার নেই।’ বিজিবিএ সভাপতি জানান, তাদের সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ১৮০০, যার মধ্যে ৩০০ প্রতিষ্ঠানে এক হাজারের বেশি বিদেশী কর্মী কাজ করছে।