গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধায় সম্প্রতি এক গাছে একই রশিতে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধারের মামলায় চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রহস্য উম্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাইবান্ধা।
রবিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে জেলা পিবিআইয়ের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এ আর এম আলিফ এ তথ্য গনমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করে জানান এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় , গাইবান্ধার সদরে এক গাছে একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী প্রদীপ চন্দ্র দাসকে জিজ্ঞাসাবাদে জোড়া খুনের ঘটনাটি স্বীকার করেন এবং বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন প্রদীপ।
পুলিশ সুপার আরও জানান, নিহত সুমন কান্তি দাস এর মায়ের সাথে পলাতক আসামী নিতাই চন্দ্র দাসের অবৈধ সম্পর্ক জানা জানি হয়। এনিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে বিরোধের জেরে নিতাইয়ের পূর্ব পরিকল্পণায় প্রদীপ চন্দ্র দাসের সহযোগীতায় নিহত মৃনাল কান্তি দাস ও সুমন কান্তি দাসকে মাদক সেবনের উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে আরও তিন-চারজনের সহযোগীতায় মৃনাল ও সুমনকে হত্যা করে। পরে এ হত্যাকান্ডকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্য এক গাছে একই রশির দুই মাথায় মৃনাল ও সুমনকে ঝুলিয়ে রাখে।
গত বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সকালে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের পাঠানডাংগার মাঝিপাড়া গ্রামে এক গাছে একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মৃনাল চন্দ্র দাস (২৪) সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের পাঠানডাংগা মাঝিপাড়া গ্রামের রামনাল চন্দ্র দাসের ছেলে এবং সুমন চন্দ্র দাস (২৩) চুনিয়াকান্দি গ্রামের সাধু দাসের ছেলে। সম্পর্কে দুজন বন্ধু। গত দুই দিন আগে ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে তারা বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাতেই নিহত সুমন চন্দ্রের বাবা মিঠা সাধু দাস বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন । মামলায় নিতাই ও প্রদীপের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামী করা হয়। পরে ১৩ আগস্ট শুক্রবার থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাইবান্ধা এই মামলার তদন্ত শুরু করে।