সোমবার, এপ্রিল ২২, ২০২৪

যে কারণে বাংলাদেশ জাতিসংঘে মিয়ানমার ইস্যুতে ভোটদানে বিরত থেকেছে

যা যা মিস করেছেন

মিয়ানমারে সামরিক জান্তা সরকারের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘে প্রস্তাবের পক্ষে বাংলাদেশ মিয়ানমারের বিপক্ষে ভোট না দেওয়ায় পরবর্তীতে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি করে। প্রস্তাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কোনো উল্লেখ না থাকায় ভোটদানে বিরত থেকেছে বাংলাদেশ।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা ভোটদানে বিরত থাকার ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘ওই প্রস্তাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোনো উল্লেখ না থাকায় বাংলাদেশে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।’ এছাড়াও গতকাল শনিবার বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ যে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, তা বাংলাদেশের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।

সংবাদ আরও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতিসংঘের ওই প্রস্তাবে দ্রুত রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় নিরাপদে এবং স্থায়ীভাবে মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার ব্যাপারে অনুকূল পরিবেশ তৈরির কোনো প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয়নি। সেখানে রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, তেমনি রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোনো সুপারিশ বা পদক্ষেপ নেই।

 

এতে মিয়ানমারকে যেমন দায়মুক্তি দিচ্ছে, তেমনি দেশটির অন্য সংখ্যালঘুরাও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ এবং মিয়ানমারের কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও এসব মৌলিক গুরুত্বের বিষয়গুলো এই প্রস্তাবে না আসায় বাংলাদেশ ওই প্রস্তাবে ভোট দানে বিরত থেকেছে।

বাংলাদেশে বলেছে, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে মিয়ানমারে সংবিধান পুনর্বহালের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন রয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার বিষয়ে যেকোনো প্রস্তাব অসম্পূর্ণ থেকে যাবে, যদি সেটায় রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ উল্লেখ করা না হয়।

বাংলাদেশ আরও বলেছে, যদিও অনেক দেশ রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা দিচ্ছে, কিন্তু রোহিঙ্গা সংকটে মানবিক সহায়তা কোনো সমাধান নয়। এ জন্য রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন এবং সেটা অবশ্যই মিয়ানমারে হতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলো, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফেরত পাঠাতে যেসব শর্ত পূরণ হওয়া দরকার, তার কোনো অগ্রগতি নেই।

আসিয়ান সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডাসহ জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোর একটি কোর গ্রুপ প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করেছে, যেখানে মিয়ানমারের সামরিক নেতারাও অংশ নিয়েছিলেন।

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের ওই সম্মেলনে যে পাঁচ দফা কার্যকরের আহ্বান জানানো হয়েছিল, সেটাই এসেছে জাতিসংঘের এই প্রস্তাবে। কিন্তু সেখানে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

এদিকে, বিবিসি বাংলা বলছে, আইনগতভাবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাব মানা বাধ্যতামূলক না হলেও, রাজনৈতিকভাবে এটি গুরুত্বপূর্ণ।

উল্লেখ্য, প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১১৯টি। বিপক্ষে একটি। তবে ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশ, রাশিয়া, চীন, ভারত, নেপাল, ভুটান, লাওস, থাইল্যান্ডসহ ৩৬টি দেশ।

 

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security