অ্যাথলেটিকো বিলবাওকে হারিয়ে লা লিগার শিরোপা জয়ের দৌড়ে টিকে রইল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। সান মেমেসের নাচো ফার্নান্দেজের একমাত্র গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জিনেদিন জিদানের দল।
এদিকে নিজেদের ম্যাচে ওসাসুনাকে হারিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। ফলে শেষ রাউন্ডের ম্যাচেই নির্ধারিত হবে এবারের শিরোপা ভাগ্য।
লা লিগার শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে অ্যাথলেটিকো বিলবাওয়ের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না রিয়াল মাদ্রিদের। মাঠে নামার আগে দুঃসংবাদ আসে রিয়াল শিবিরে। মধ্যমাঠের কাণ্ডারি টনি ক্রুসকে লিগের বাকি দুই ম্যাচে দলে পাবেন না জিদান। কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে যাওয়ার কারণে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে এই জার্মান তারকাকে।
রোববার (১৬ মে) এস্তাদিও সান মেমেসে ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে রেখে আক্রমণ সাজাতে থাকে জিনেদিন জিদানের দল। তবে আক্রমণ করলেও গোলের সরাসরি সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। তবে ম্যাচের ২৮তম মিনিটে বিলবাওয়ের ডি বক্সে হ্যান্ডবলের আবেদন করলে ভিএআর দেখে তা নাকোচ করে দেন রেফারি। এর এক মিনিট পরে করিম বেনজেমার হেড করা বল ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে গোল বঞ্চিত হয় রিয়াল। শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যতেই।
দ্বিতীয়ার্ধে আরো গোছানো ফুটবল খেলতে থাকে রিয়াল। দুর্দান্ত আক্রমণে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করলেও গোলের প্রথম সুযোগ তৈরি করতে তাদের অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ৫৮তম মিনিট পর্যন্ত। ডি বক্সের বাইরে থেকে লুকা মদ্রিচের নেওয়া দুর্দান্ত শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান উনাই সিমন। এর দুই মিনিট পর ক্যাসেমিরোর হেড করা বল ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে আবারো গোলবঞ্চিত হয় রিয়াল।
তবে আর বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি গ্যালাকটিকোদের। ৬৮তম মিনিটে ডি বক্সের ডান প্রান্ত থেকে ক্যাসেমিরোর মাটি কামড়ানো ক্রস থেকে বল পেয়ে জালে জড়ান নাচো ফার্নান্দেজ। আর তাতেই লিড নেয় রিয়াল। ম্যাচের বাকি সময় তেমন কোনো আক্রমণ করতে পারেনি দুই দলের কেউই। তবে শেষ মুহূর্তে রেফারি মাতেও লাহোজ রাউল গার্সিয়াকে সরাসরি লাল কার্ড দেখালে ম্যাচের বাকি সময় ১০ জনের দলে পরিণত হয় অ্যাথলেটিকো বিলবাও।
এদিকে ওসাসুনার বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও শেষ ১০ মিনিটে দুবার জালে বল পাঠিয়ে ২-১ গোলের অসাধারণ এক জয় তুলে নেয় দিয়েগো সিমেওনের দল। ৮২তম মিনিটে রেনান লোদি ও ৮৮তম মিনিটে লুইস সুয়ারেস গোল করেন। এতে শিরোপা-ভাগ্য নিজেদের হাতে নিয়েই শেষ রাউন্ডে মাঠে নামবে আতলেটিকো।
শেষ রাউন্ডের ম্যাচে অ্যাতলেটিকোর প্রতিপক্ষ স্বাগতিক রিয়াল ভাইয়াদলিদ। আর রিয়াল মাদ্রিদ ঘরের মাঠে খেলবে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে। এই ম্যাচে অ্যাতলেটিকো জিতলে শিরোপা তাদেরই হাতে উঠবে। জিদানের দলের শিরোপা জিততে হলে নিজেদের ম্যাচে জয়ের পাশাপাশি অ্যাতলেটিকোর পরাজয় কামনা করতে হবে।
এই জয়ে ৩৭ রাউন্ড শেষে ২৪ জয়, ৯ ড্র আর ৪ হারে রিয়াল মাদ্রিদ আছে দুই নম্বরে। সমান ম্যাচে ২৩ জয়, ৭ ড্র আর ৭ হারে ৭৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে অবস্থান বার্সার। আর ২৫ জয়, ৮ ড্র এবং ৪ হারে ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে যথারীতি শীর্ষে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ।