করোনাভাইরাসের ধাক্কায় প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ব্রাজিল। দেশটির প্রায় দেড় কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এ মহামারি ভাইরাসে, প্রাণ হারিয়েছে প্রায় পৌনে ৪ লাখ মানুষ। সংক্রমণ ও মৃত্যুর পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও বড় ধাক্কা লেগেছে ব্রাজিলে।
দেশের এই সংকটময় অবস্থায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে এসেছেন বিশ্ব ফুটবলের সফলতম দেশটির কৃতি ফুটবলাররা। যাদের মধ্যে অন্যতম নেইমার জুনিয়র। যিনি প্রায় এক বছর ধরে কোনো কাজ না করিয়েই, নিজ প্রতিষ্ঠানের ১৪২ জন কর্মীকে পূর্ণ বেতন দিচ্ছেন।
অসহায় ও দুস্থ শিশুদের দেখভালের জন্য নেইমার জুনিয়র ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন নেইমার। যেটি ব্রাজিলের প্রেইয়া গ্রান্দে অঞ্চলে প্রায় ৩ হাজার শিশুর দেখভাল করে থাকে। কিন্তু করোনার কারণে গতবছরের মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
তবে কাজ বন্ধ থাকলেও, বন্ধ নেই নেইমারের এই প্রতিষ্ঠানের ১৪২ জন কর্মীর বেতন। করোনাভাইরাসের ধাক্কায় কার্যত বেকার হয়ে গেলেও, এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১৪২ জনের বেতনের পুরোটাই পরিশোধ করে যাচ্ছেন নেইমার। করোনার দোহাই দিয়ে বেতনের এক অংশও কাটেননি তিনি।
আর এ কাজের জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৯০ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯১ লাখ টাকা) খরচ হচ্ছে নেইমারের। যা পুরোটাই তিনি নিজের পকেট থেকে দিচ্ছেন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেইমারের মুখপাত্র ও বাবা নেইমার সিনিয়র।
তিনি বলেছেন, ‘আমি এবং আমার পরিবার পুরো বিষয়টি সামাল দিচ্ছি। এখানের ১৪২ জন কর্মীর সবাই তাদের বেতন এবং অন্যান্য সুবিধাদি শতভাগ পাচ্ছে। আমরা নিজেদের অর্থ-সম্পদ থেকে এর ব্যবস্থা করেছি। এই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের এসব নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। এটা আমরা দেখছি। যত দিন এই মহামারি চলবে, তত দিনই দেখব।’