বাংলাদেশের জনগণ ধর্মপ্রাণ, তারা কোনো ধর্মান্ধতাকে সমর্থন দেয় না আগুন নিয়ে খেলতে গেলে সে আগুনে আপনাদের হাত পুড়ে যাবে। দেশের জনগণের ধৈর্য ও সহনশীলতার একটা সীমা আছে। সীমা অতিক্রম করলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বুধবার সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে নেতাকর্মীদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
হেফাজতে ইসলাম নামের একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দেশের বিদ্যমান স্বস্তি এবং শান্তি বিনষ্টে দেশের বিভিন্ন স্থানে যে অব্যাহত তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে, তা সহনশীলতার সব মাত্রা অতিক্রম করেছে। জনগণের জানমালের সুরক্ষা দিতে শেখ হাসিনা সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সেতুমন্ত্রী আওয়ামী লীগসহ সব সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারি এবং সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উসকানিদাতাদের তালিকা প্রস্তুত করে এদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হারানো গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন এবং বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে দাঁড় করিয়েছেন এবং দেশের অর্থনীতিকে দাঁড় করিয়েছেন শক্ত ভিতের ওপর।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় হামলা, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, ভূমি অফিসে আগুন দিয়ে জমি জমার গুরুত্বপূর্ণ দলিল, খতিয়ান, নামজারি রেকর্ড ছাই হয়ে গেছে, ভূমির প্রয়োজনীয় দলিল নথিপত্রের অভাবে বংশপরম্পরায় মামলা-মোকদ্দমায় লড়তে হবে, সুতরাং যারা এসবের সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করে দেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি-জামায়াত নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ধ্বংসাত্মক আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে ২০১৩- ১৪ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করার ঘৃণ্য খেলায় মত্ত হয়েছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আঘাত এলে প্রতিঘাত করতে জানে এবং আক্রমণ করলে পাল্টা আক্রমণও করতে জানে।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কঠোর হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে দেবেন না। মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর অবমাননা জাতি আর সহ্য করবে না। বঙ্গবন্ধুর ছবি ও ভাস্কর্যের ওপর যারা হামলা করেছে, আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাদের এ ধৃষ্টতার জবাব দেবে।
ঢাকাসহ দেশের সবকটি সিটি করপোরেশনে জনস্বার্থে গণপরিবহণ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার এ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তির অবকাশ নেই।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়