জসিম উদ্দীন (কলমাকান্দা, নেত্রকোণা) :
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা ৭ নং কৈলাটি ইউনিয়নের বাসিন্দা আমেনা আক্তার।
স্বামীসহ একের পর এক চলে গেছেন না ফেরার দেশে। বর্তমানে তার কেউ নেই বললেই চলে, অসহায় ভাবে একলা জীবন যাপন করছেন তিনি। মায়ের ভাতা কার্ডে এতদিন চললেও মায়ের মৃত্যুর পর চলতে হচ্ছে অভাব-অনটনে। মিলছেনা এক মুঠো খাবার থাকতে হচ্ছে বহু বছর আগে চাঁদা তুলে এলাকাবাসী মিলে করে দেওয়া ঘরে। বর্তমানে সেই ঘরটিতে মরীচিকা ধরে বিলুপ্তের পথে শেষ সম্ভবল এই ঘরটি।
সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে দেখা যায়, টিনের চালে মরীচিকা ধরে বিলুপ্তের পথে রয়েছে জঙ্গলে বাঁশের নিচে থাকা এই শেষ সম্ভব ঘরটি।
এ বিষয়ে, আমেনা আক্তার চোখের জলে বলে উঠেন, আমি সর্ব দিক দিয়ে বঞ্চিত রয়েছি। এই পর্যন্ত আমার কপালে জুটেনি একটি সরকারি ঘর। স্বামী মারা গেছে বহু বছর আগেই, মা মারা গেছেন মহামারী করোনা কালে। এতদিন মায়ের ভাতা কার্ডে দিন চললেও এখন চলছে অভাবে।
এ বিষয়ে, স্থানীয় চেয়ারম্যান রুবেল ভূইয়া’র কাছে মুঠোফোন যোগাযোগ করতে চাইলে, বলেন আমেনা আক্তার নামে কেউ আমার কাছে আসে নি যদি আসে আমি কিছু করার চেষ্টা করবো একটা ব্যবস্থা করা যায় কি না ।
স্হানীয় ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবু শাহিদ বলেন তার মায়ের নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড ছিল,তার মা করুনা কালে মারা যায়, এখন আমাদের হাতে কোন ভাতাকার্ড নেই যদি আসে আমি পৌঁছে দিব আমেনার হাতে।