সোমবার, এপ্রিল ৮, ২০২৪

আসছে পুরুষের জন্মবিরতিকরণ পিল!

যা যা মিস করেছেন

সর্বশেষ গবেষণায় জানা গেছে, খুব শিগগিরই পুরুষরা জন্মবিরতিকরণ পণ্য হাতের নাগালে পেয়ে যেতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে জেল, প্রতিদিন সেবন করার জন্য পিল, মাসিক ভিত্তিতে ইঞ্জেকশন গ্রহণ অথবা পরিবর্তনযোগ্য কেমিক্যাল ভ্যাসেকটমি। এসব বিষয় ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ভাল ফল দেখিয়েছে। যদি তা সত্য হয় তাহলে পুরুষের প্রজনন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সহজ হয়ে যেতে পারে।

পুরুষদের প্রজননতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ অপেক্ষাকৃত সহজ এবং নারীদের চাইতেও এখানে জটিলতা কম বলে সাধারণ চোখে মনে হয়। তবে বাস্তবতা ভিন্ন। একজন পুরুষের জৈবিক উদ্দেশ্য হলো তার জিনগুলোকে ছড়িয়ে দেয়া, বংশ বিস্তার করা। সারাদিনে একজন প্রজননে সক্ষম পুরুষ প্রতি সেকেন্ডে এক হাজার শুক্রাণু উৎপাদন করেন। জৈবিক ক্রিয়ার সময় নির্গত করেন ২৫০ মিলিয়ন শুক্রাণু। এই বিপুল পরিমাণ শুক্রাণুর কৃত্রিমভাবে নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করা কার্যকরভাবেই কঠিন। অন্যদিকে প্রাকৃতিকভাবে একজন নারী প্রতি মাসে মাত্র একটি অথবা দুটি ডিম্বাণু নিঃসরণ করেন।

বর্তমানে পুরুষদের কাছে জন্ম নিয়ন্ত্রণের দুটি বিকল্প রয়েছে- কনডমের ব্যবহার এবং স্থায়ী বন্ধ্যাকরণ অস্ত্রোপচার। সেখানে সার্জন শুক্রাণু বহন করা টিউবটি কেটে ফেলেন বা বন্ধ করে দেন। তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানের জোয়ার নয়া মোড় নিচ্ছে এখন। নতুন এক ধরণের গর্ভনিরোধক জেল এখন আবারো আশা দেখাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই জেলটি ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কিছু দম্পতির মাঝে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে।

এই জেল পুরুষের কাঁধে ও বাহুতে মাখতে হয়। এটি বৃটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে পরীক্ষা করা হচ্ছে দম্পতিদের ওপর। এই জেলে আছে সেজেস্টেরন অ্যাসিটেটের (নেস্টরন হিসেবে যা পরিচিত) সঙ্গে পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন। এটি নারীদের প্রোজেস্টিন-টাইপের হরমোনের মতো। পরীক্ষায় দেখা গেছে নেস্টরন কার্যকরভাবে শুক্রাণু উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। পরীক্ষায় পুরুষরা এই জেল প্রতিদিন তাদের কাঁধে এবং বাহুতে মাখেন। এর ফলে এর হরমোন ত্বকের নিচে পৌঁছে যায়। ২৪ ঘন্টার জন্য তা রক্তপ্রবাহের সঙ্গে মিশে যায়। বৃটেনে এই পরীক্ষা করা হয়েছে এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটি এবং ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্টে। এডিনবার্গের গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া ক্লিনিক্যাল প্রজনন বিজ্ঞান বিষয়ক প্রফেসর রিচার্ড অ্যান্ডারসন বলেছেন, আমরা এখন পাঁচজোড়া দম্পতির ওপর এই পরীক্ষাটি পর্যবেক্ষণ করছি যারা গত এক বছর যাবত কোনরূপ অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই জন্মবিরতিকরণ জেল ব্যবহার করে চলেছেন। ৪৫০ টি দম্পতির ওপর এই পরীক্ষা করার লক্ষ্য স্থির হয়েছে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে জেল পরীক্ষায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন লস অ্যাঞ্জেলেস বায়োমেডিকেল রিসার্স ইনস্টিটিউটের অনুসন্ধানকারী ড. ক্রিস্টিনা ওয়াং। তিনি বলেছেন, পুরুষদের ক্ষেত্রে তিন ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে কাজ হচ্ছে। তা হলো, পিল, জেল এবং মাসিক ভিত্তিতে ইঞ্জেকশন। প্রতিটিই অগ্রগতির পর্যায়ে আছে।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security